কর্মী নিয়োগে ‘অনলাইন ইন্টিগ্রেট’ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সম্মত মালয়েশিয়া

বিদেশি শ্রমিক আবেদনের কোটা অনুমোদন স্থগিতে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ সচিব।
কর্মী নিয়োগে ‘অনলাইন ইন্টিগ্রেট’ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সম্মত মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক। ফাইল ছবি/সংগৃহিত

কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশের 'অনলাইন ইন্টিগ্রেট' ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে সম্মত হয়েছে মালয়েশিয়া।
 
আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। 

২০ মার্চ সোমবার ২ দেশের সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়া 'অনলাইন ইন্টিগ্রেট' ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

তিনি জানান, অনলাইন ইন্টিগ্রেট ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকে কর্মী নেওয়া, ক্লিয়ারেন্স এবং রিক্রুটমেন্টের সঙ্গে মালয়েশিয়ার ডাটাবেজের সমন্বয় হবে। ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার বিষয়টি আরও সহজ ও পরিচ্ছন্ন হবে।

সভায় কর্মী প্রেরণের পুরো বিষয়টিকে কীভাবে দ্রুত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে সচিব বলেন, 'বাংলাদেশ যে পরিমাণ ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছে ওই পরিমাণ কর্মী এখন পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারেনি। এখানে কিছু সমস্যা আছে। ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য বাড়তি সেন্টার চালু করতে বলা হয়েছে মালয়েশিয়াকে। যত দ্রুত সম্ভব এটা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে মালয়েশিয়া।'

বিদেশি শ্রমিক আবেদনের কোটা অনুমোদন স্থগিতে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ সচিব।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য যারা ডাটাবেজ পূরণ করেছেন তারা যেতে পারবেন, এতে কোনো বাধা থাকবে না।'

প্রবাসীকল্যাণ সচিব বলেন, 'যে পরিমাণ ওয়ার্ক অর্ডার অনুমোদন হয়েছে,  ওই পরিমাণ কর্মী এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। এখানে কিছু সমস্যা আছে। ভিসা প্রসেসিং করার জন্য বাড়তি সেন্টার চালু জন্য মালয়েশিয়াকে বলা হয়েছে। তা যত দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে মালয়েশিয়া।'

এ ছাড়া সভায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খরচ নিয়োগকর্তার বহনের বিষয়টিও মনিটরিং ও নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়।

সচিব বলেন, 'মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু ফি আছে যেগুলো নিয়োগকারীদের বহন করার কথা। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো কর্মী ও এজেন্টদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলো তারা স্পষ্ট করবে বলে জানিয়েছে।'

মালয়েশিয়া প্রান্ত থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত ছিলেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দাতো হাজী আসরী বিন আব রহমান রহমান,  আন্তর্জাতিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি রাজা মোহাম্মদ নিজাম বিন রাজা কামারুল বাহরিন, অভিবাসন বিভাগের (বিদেশি শ্রমিক বিভাগ) পরিচালক আইয়ুব বিন আবদ রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নূর আতিকা বিনতি আব্দুল বাসিত, মোহাম্মদ শাজওয়ান বিন সালেহ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নরাফিজান বিন মুস্তাফাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার।

এ ছাড় মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, মিনিস্টার শ্রম নাজমুছ সাদাত সেলিম, কাউন্সেলর লেবার মো. জহিরুল ইসলাম, প্রথম সচিন লেবার এ এস এম জাহিদুর রহমান ও দ্বিতীয় সচিব শ্রম সুমন কুমার দাস যুক্ত ছিলেন।

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
 

Comments