ভেনিসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিএনপির

পৃথিবীর যেখানে একজনও প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন, সেখানেই ওড়ে লাল-সবুজের পতাকা।
ভেনিসে বিএনপির আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ। দিনটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১১৯টি দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। প্রবাসীরা দিনটি প্রতি বছর গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন। বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও তা মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়।

পৃথিবীর যেখানে একজনও প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন, সেখানেই ওড়ে লাল-সবুজের পতাকা। এতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারে। শেকড়ের সঙ্গে তাদের বন্ধন মজবুত হয়।

এ বছর রোজার মধ্যে স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় আলাদা রকম মাত্রা পেয়েছে। প্রবাসীরা সারাদিন রোজা রেখে সংগঠিতভাবে ইফতারের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছেন। ভেনিসের প্রতিটি কমিউনিটি মসজিদে বিশেষ ইফতারির আয়োজন করা হয়। এতে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিরা শিশু-কিশোরসহ যোগ দেন।

ভেনিসের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল (বিএনপি) ও জাতীয়তাবাদী যুব দল যৌথভাবে ২৬ মার্চ বিকেলে মেসত্রের একটি রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সংগঠন ২টির কয়েক শ প্রবাসী নেতাকর্মী যোগ দেন।

ভেনিস বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধন অতিথি ছিলেন ভেনিস বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শামিম দেওয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র নেতা আজহার শরিফ।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস এমন একটা সময়ে আমরা উদযাপন করছি, যখন প্রিয় বাংলাদেশের মানুষ এক দুর্বিসহ সময় পার করছে। উন্নয়নের নামে লুটেরা সরকার দেশে চরম আর্থিক এবং রাজনৈতিক সংকট ডেকে এনেছে। দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ দিশেহারা। তারা চিড়া-মুড়ি খেয়ে রোজা রাখছেন।

সভাপতি আবদুল আজিজ সেলিম বলেন, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া ফ্যাসিবাদি সরকার ইতিহাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। নতুন প্রজন্মকে পাঠ্যবইতে বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শমসের আকবির পলাশের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ভেনিস বিএনপি ও যুব দলের নেতারা।

ইফতার মাহফিলের দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ইফতারের আগমুহূর্তে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। আমরা দোয়া করি, সব মুক্তিযোদ্ধাকে আল্লাহ বেহেশতের উচু মাকাম দান করবেন এবং জীবিতদের সম্মান আরও বাড়িয়ে দেবেন।

তিনি দেশের রাজনৈতিক ও আর্থিক সংকট নিরসনে আল্লাহর মদদ প্রার্থনা করেন।

Comments