চাঁদা চেয়ে ব্যবসায়ীকে চিঠি দিয়ে ৩ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

সড়ক দুর্ঘচনা
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

টাঙ্গাইলে এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে চিঠি পাঠানোর অভিযোগে স্থানীয় তিন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এছাড়া, এই ঘটনায় জড়িত অপরাধে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার শহরের সন্তোষ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ গত রাত থেকে অভিযান শুরু করেছিল।

তারা হলেন—আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬), সাব্বির হোসেন (২০), শাহ আলম (৫০), জুবায়ের হোসেন (৫২) ও গোলাম রাব্বানী (৫২)।

তাদের মধ্যে রাব্বানী টাঙ্গাইল শহর বিএনপির আট নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি, আলম একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও জুবায়ের সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ জানিয়েছে, বাকি দুইজন তাদের সহযোগী।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সন্তোষ এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী মো. আজহারুল ইসলামের এক কর্মচারীর হাতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি চিঠিটি দিয়েছিল। আজহারুল শুক্রবার সকালে চিঠিটি হাতে পান।

চাঁদার টাকা কোথায় কখন রাখতে হবে সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয় চিঠিতে।

চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় আজ সকালে আজাহার একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচজনকে টাঙ্গাইল আদালতে তোলা হয়েছিল।'

কোর্ট ইনস্পেকটর লুৎফর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালত পাঁচজনকেই কারাগারে পাঠিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে মামুন ও সাব্বির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব কুমার চন্দর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন।'

যোগাযোগ করা হলে টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ নিশ্চিত করেছেন, আলম, জুবায়ের ও রাব্বানী স্থানীয় বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, 'দল এই ঘটনা তদন্ত করবে। এই ঘটনায় যদি তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago