প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: টোকিওতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

জাপানে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে ফুমিও কিশিদার কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ছবি: সংগৃহীত

জাপানে ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন তিনি।

তবে এই আলোচনার প্রাক্কালে ফুমিও কিশিদার কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

উভয় কর্মসূচি পালনের মধ্যে দূরত্ব ছিল কেবল রাস্তার এপাশ-ওপাশ। বিএনপির অবস্থান ছিল ৩ নম্বর গেট এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান ছিল ৪ নম্বর গেট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সফলতা কামনা করে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আজকের কর্মসূচি পালন করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

একই সময়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমমনারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় পক্ষের শারীরিক এবং শ্লোগানের ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক।

কর্মসূচিতে 'দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর' অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য স্লোগান দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এর প্রত্যুত্তরে 'যেখানে হাসিনা সেখানে প্রতিবাদ, হটাও হাসিনা বাঁচাও দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ' ব্যানারে বিক্ষোভ করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এসময় আওয়ামী লীগকে 'খুনি ও সন্ত্রাসের দল' এবং 'নিশিরাতের ভোট চোর' বলে স্লোগান দেন তারা।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। তবে জাপান পুলিশের তৎপরতায় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা সেসময় না ঘটলেও সাধারণ জাপানীদের মধ্যে বেশ কৌতূহলের জন্ম দেয়। অনেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রাস্তায় চলাচল করেন।

এ বিষয়ে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিযোগ, বাংলাদেশীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির কালোছায়া জাপানের রাজপথে কাম্য নয়, এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

উল্লেখ্য, জাপানের আইনে পূর্বানুমতি নিয়ে যে কারও বিক্ষোভ পালনে কোনো বাঁধা নেই। বরং পুলিশ এ ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

Comments

The Daily Star  | English

Neonatal mortality still high at 20 per 1,000 births

A recent study has raised concerns about their current condition, revealing operational issues that could threaten future progress.

14h ago