বাংলাদেশ-আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে চিত্রপ্রদর্শনী

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের চিত্রশিল্পীদের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছে চিত্রপ্রদর্শনী।

বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির আর্ট গ্যালারিতে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১১ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের চিত্রশিল্পীদের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

'সংস্কৃতির সেতুবন্ধন: চিত্রকলায় বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন' শীর্ষক এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর।

কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের ব্যবস্থাপনায় নিহারিকা মমতাজের তত্ত্বাবধানে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন ইমদাদুল হক সূফী।

প্রদর্শনীতে একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ ও কনক চাঁপা চাকমা, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, জামাল হোসেন, আনিসুজ্জামান, দুলাল চৌধুরী গেইন, নাজিয়া আন্দালিব রিমা, আবিদা হোসেন, হাসুরা আক্তার রুমকি, মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম ও সুবর্ণা মুরশেদা চিত্রকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি৷

আমিরাতের চিত্রশিল্পী জাছিম আল ওয়াদি, ডক্টর মুহাম্মদ ইউসুফ, নুজুম আল গানেম, আফরা সালমান আল সুয়াজি ও রাশিদ আব্দুল্লাহ আল মুল্লার শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে এই আয়োজনে।

রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আমিরাতে সফর করে কূটনৈতিক সম্পর্কের যাত্রা শুরু করেন। সেই সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ২ দেশের চিত্রশিল্পের চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন মজবুত হলো। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিকাশেও এই আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করবে।'

আমিরাতের চিত্রশিল্পী জাছিম আল ওয়াদি বলেন, '২ দেশের শিল্পীদের চিত্রপ্রদর্শনী অব্যাহত রাখতে আগামীতে আমরাও বাংলাদেশে যেতে পারি৷ বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন চিত্রকর্ম নিয়ে এটিই প্রথম কোনো আয়োজন করেছে। আমাদেরকে খুবই আপ্লুত করেছে এই আয়োজন। বাংলাদেশ ও আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক সংস্কৃতির মাধ্যমেও যে তুলে ধরা যায়, তার প্রমাণ আজকের এই আয়োজন।'

Comments