সিডনিতে ফিলিস্তিনপন্থীদের মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বলেছেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আর কোনো সমাবেশ ঘটবে না।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত সোমবার ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের আয়োজকরা আগামী রোববার সিডনিতে আরেকটি মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ইতোমধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার এটির অনুমতি দেবেন না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।

প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আর কোনো সমাবেশ ঘটবে না। বিক্ষোভ সংগঠকরা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে তারা শান্তিপূর্ণ নয়। জাতিগত বৈষম্য চিৎকার করে বলা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সংজ্ঞা নয়। সিডনির রাস্তায় "কমান্ডো মহড়া" করতে দেওয়া হবে না।'

গত সোমবার বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দল মিছিল ও সমাবেশে ইসরায়েল এবং ইহুদিবিরোধী শ্লোগান উচ্চারণ করেছিল। মিছিলটি সিডনি টাউন হলে শুরু হয়ে অপেরা হাউসে শেষ হয়। ওই রাতে অপেরা হাউসের পালগুলো ইসরায়েলের পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়।

প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স জানিয়েছেন যে, হামাস ইসরায়েলি শহরগুলোতে আক্রমণ করে গণহত্যা করার পর অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি সম্প্রদায়ের অনুরোধে তিনি অপেরা হাউসে আলোকসজ্জার অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রতিবাদকারীরা বলেছেন, 'নিরপরাধ জীবনের ক্ষতি থেকে উদযাপন করার কিছু নেই।'

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বলেছেন, এটি 'অসহনীয়' যে ফিলিস্তিনিপন্থী সমাবেশের কারণে ইহুদি সম্প্রদায় অপেরা হাউসে যেতে পারেনি।'

ফিলিস্তিনিপন্থী অন্যতম সংগঠক ফাহাদ আলী এসবিএস নিউজকে বলেছেন, নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ তাদের জানিয়েছে যে রোববারের সমাবেশের জন্য তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমরা আপিল করার আইনি উপায় বিবেচনা করছি। ইসরায়েলের সামরিক দখলের প্রতিবাদ করার অধিকার ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের আছে।'

তিনি আরও বলেন, কেন শুধুমাত্র কিছু লোক শোক করতে পারবে এবং অন্যরা নয়। কেন আমরা আমাদের পরিবার, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহকর্মীদের জন্য শোক করতে পারব না। নাগরিক স্বাধীনতার জন্য এর মারাত্মক প্রভাব রয়েছে।'

নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী পুলিশ কমিশনার টনি কুক সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা আশা করি না যে কেউ  অন্য জায়গা থেকে সংঘর্ষ সিডনির রাস্তায় নিয়ে আসবে। সহিংসতা সহ্য করা হবে না।'

আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago