মিশরে বিজয় দিবস উদযাপন

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল‌ ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।
মিশরে বিজয় দিবসের আয়োজনে উপস্থিত প্রবাসীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিশরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল‌ ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

দুপুর সাড়ে ১২টায় দূতাবাসের হলরুমে আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, জাতিসংঘ কর্মকর্তা, মিশরের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও শ্রমজীবীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন।

শিশির কুমার সরকারের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান যথাক্রমে দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন, দ্বিতীয় সচিব আতাউল হক ও তৃতীয় সচিব শিশির কুমার সরকার।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করার পর রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ আগত সব অতিথিকে স্বাগত ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের।

সামিনা নাজ বলেন, 'বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। লন্ডনের সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড ব্যাংকিং রিসার্চ অনুসারে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এ সাফল্যের পিছনের চালিকা শক্তি। তার সুদূর প্রসারী নেতৃত্বে সরকার ভিশন-২০৪১ এবং মাতৃভূমিকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং এ ব্যাপারে প্রবাসী সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানাই।'

Comments