ইসরায়েলের সমালোচনা করায় অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিক বরখাস্ত

লাট্টুফ এবিসির সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে লিখেছেন, তিনি মনে করছেন তার বরখাস্ত বেআইনি।
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের সমালোচনা করে পোস্ট দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি থেকে সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এবিসি থেকে বলা হয়েছে যে, লাট্টুফ তার ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এইচআরডব্লিউ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে সংস্থাটি দাবি করেছে, ইসরায়েল গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের খাদ্য, পানি এবং জ্বালানি সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।

এবিসি ম্যানেজমেন্ট লাট্টুফকে 'বিতর্কিত বিষয়' শেয়ার না করার জন্য বলার পরও তিনি এ কাজটি করেছেন বলে এবিসি অভিযোগ করেছে।

লাট্টুফ এবিসির সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে লিখেছেন, তিনি মনে করছেন তার বরখাস্ত বেআইনি।

তিনি লিখেছেন, 'এটি সাংবাদিকতা ও স্বাধীন চিন্তার জন্য অশনি সংকেত।'

সাংবাদিক আন্তোয়েনেট লাট্টুফ এবিসি ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শুনানির সময় লাট্টুফ অভিযোগ করেন যে তাকে কেবল তার রাজনৈতিক মতামতের জন্যই নয়, তার জাতি এবং তার লেবানিজ-অস্ট্রেলিয়ান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্যও বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রথম শুনানির পর তিনি বলেছেন, 'যতক্ষণ লাগে লড়াই করার জন্য আমি প্রস্তুত।'

এবিসি দাবি করেছে, লাট্টুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে কারণ তিনি বিতর্কের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট না করার নির্দেশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন।

সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এবিসি লাট্টুফকে বরখাস্ত করার আগে উচ্চ পর্যায় থেকে চাপে ছিল। ইসরায়েলের আইনজীবীদের একটি গ্রুপ লাট্টুফকে বরখাস্ত করার দাবি করেছিল।'

তবে এবিসি বলেছে, 'লাট্টুফকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বাইরের চাপ কোনো ভূমিকা পালন করেনি।'

তাসমানিয়ায় একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তিনি এবিসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করবেন না।

'এগুলো এবিসির বিষয় এবং এবিসি সরকার থেকে আলাদা একটি স্বাধীন সংস্থা', বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'এটি অবশ্যই জনসাধারণের মালিকানাধীন। তবে আমি মন্তব্য করে কোনো সমস্যা তৈরি করতে চাই না, যা এবিসিকে নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা মনে হতে পারে।'

এবিসি জানিয়েছে, লাট্টুফ একটি স্বল্পমেয়াদী চুক্তিতে নিযুক্ত ছিলেন।

এবিসি আরও বলেছে, লাট্টুফকে তার শিফটের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments