জাপানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।
চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।

আজ রোববার টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে প্রথমে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এবং পরে আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রবাসী নেতাদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এরপর দূতাবাস প্রাঙ্গণে সবার অংশগ্রহণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

এরপর দূতাবাস মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

বাণী পাঠ শেষ হলে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, 'জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়।'

রাষ্ট্রদূত শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু-স্বার্থ সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে গঠনে আজকের শিশুরাই হবে দিক নির্দেশক।'

এজন্য শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাপানি অতিথি ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।

আলোচনা সভার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এরপর জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পবিত্র রমজানের পবিত্রতায় সবশেষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের খেজুর বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দূতাবাস কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মুহাম্মদ বশির।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ দূতাবাসে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

 

Comments