কারা ভাঙল বিমানের ড্রিমলাইনারের আসন-এলইডি স্ক্রিন

ঢাকা-টরন্টো রুটে চলাচলকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের কয়েকটি আসনের বিভিন্ন অংশ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট আসনের যাত্রীদের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বিমানের ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের কয়েকটি আসনের বিভিন্ন অংশ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-টরন্টো রুটে চলাচলকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের কয়েকটি আসনের বিভিন্ন অংশ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট আসনের যাত্রীদের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান জানিয়েছে, রোববার ভোররাত ৪টার দিকে ঢাকা থেকে টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইটটি। এর ২৪ ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি টরন্টোতে পৌঁছায়। উড়োজাহাজটি এখন কানাডার টরন্টোতে আছে। সেখান থেকেই গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি ঢাকায় জানানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের খুঁজছে কর্তৃপক্ষ।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারটি বিমানের বহরে সম্প্রতি যোগ হওয়া উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে একটি। উড়োজাহাজটির অভ্যন্তরের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটির কয়েকটি আসনের হাতল, আসনের সামনের এলইডি স্ক্রিন, আসনের প্যানেল ও রিমোট ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। একটি আসনের ২ পাশের হাতল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আসনের নিচের প্যানেলও ভাঙা হয়েছে। ওই আসনে যুক্ত এলইডি মনিটরটিও টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। বাঁকা হয়ে ঝুলে আছে এলইডি মনিটর। আসনের নিচে গ্লাস, চামচ, কম্বল সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

গত বছরের ২৭ জুলাই বিমানের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট ঢাকা থেকে টরন্টোতে যায়। এই রুটে ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। ২১ ঘণ্টার এই যাত্রাপথে তেল নিতে সোয়া ১ ঘণ্টার জন্য তুরস্কে বিরতি নেয় উড়োজাহাজটি।

বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকা-টরন্টো রুট চালুর পর থেকেই যাত্রীদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যেই এই নাশকতার ঘটনাটি ঘটল। সেখানে কী হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা, তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টরন্টোর ব্যবস্থাপককে এ ঘটনার রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।'

ড্রিমলাইনারের আসন ভাঙা অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, 'বোঝা যাচ্ছে প্রচণ্ড খারাপ উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে। এই আক্রোশ বিমানের ওপর নাকি দেশের ওপর তা বোঝা মুশকিল।'

শফিউল আজিম বলেন, 'ঢাকা-টরন্টো রুটে বিমান ভালো করছে। সে কারণে অন্য কেউ এটা করালো কি না, তাও দেখা হবে। এটা আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। ওই সিটে কে বসে ছিলেন, তার জাতীয়তা কী, এসব জানার চেষ্টা চলছে। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments