নির্ভার সুখী জীবনের পাঁচ উপায়
সব মানুষই সুখের পেছনে ছোটে। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে, এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রতিনিয়ত মানসিক চাপও বেড়ে চলেছে। গবেষকেরা বলছেন, সুখ হচ্ছে বেছে নেওয়ার বিষয়। যা-ই ঘটুক না কেন, মানুষ তার আবেগের ওপর কতটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, এটি তার ওপর নির্ভর করে। জীবনে চাপমুক্ত হয়ে সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়ের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
জীবনে যত মানুষের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এতে নিজের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে। সুপ্রভাব পড়তে পারে অন্যের জীবনেও। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বিষয়টি সুখের সঙ্গে জোরালোভাবে লেগে থাকে। গবেষকেরা বলেন, যাঁরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, তাঁদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব দূর হয় এবং অন্যের চেয়ে তাঁরা বেশি সুখী হন।
আশাবাদী
সুখী হওয়ার অন্যতম মূল উপাদান হচ্ছে আশাবাদী হওয়া। যখন কোনো কিছু নেতিবাচক দেখবেন, এতেও ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ ধরনের খারাপ সময় চিরস্থায়ী নয়, পরিবর্তন আসবে। ইতিবাচক আবেগ স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং মানুষকে সুখী রাখে।
বন্ধুত্ব
সুখ অর্থ সামাজিকভাবে দৃঢ় বন্ধনে যুক্ত থাকা। গবেষকদের মতে, এক বা একাধিক নিবিড় বন্ধুত্বে সুখী হওয়া যায়। অনেক বন্ধু মিলে নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা বা পারস্পরিক শেয়ার করার বিষয়টি এর ওপর নির্ভর করে না। গভীর বন্ধুত্ব ও পরস্পরকে সহযোগিতার মনোভাব মানসিক চাপ কমিয়ে সুখী করে।
ব্যায়াম
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষের সুখ বাড়াতে ব্যায়াম ভূমিকা রাখতে পারে। এটি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মেজাজ ফুরফুরে রাখে। গবেষকেরা বলেন, দৈনিক ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে মনে যতই দুঃখ থাক না কেন, তা সুখে রূপান্তর করতে পারে। ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন যেমন ঠিকঠাক থাকে, তেমন অন্যান্য স্বাস্থ্য সুফল পাওয়া যায়। হৃদ্রোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো রোগও শরীরে বাসা বাঁধে না। মন থাকে চাপমুক্ত।
স্বাস্থ্যকর খাবার
প্রচুর ফল আর শাকসবজি খেলে জীবনে সন্তুষ্টি আসে। মন ভালো হয় আর সুখ বাড়ে। ফল আর সবজি স্বাস্থ্যর ওপর যেমন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তেমনি সুখ অনুভূতি প্রখর করে। যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখেছেন, দিনে ৮ ভাগের বেশি ফল আর সবজি খেলে মানুষের জীবনে সুখের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।
Comments