রাঙা হাতে ঈদ
ঈদ উৎসবের সাজে যেন পূর্ণতা নিয়ে আসে হাতভরা মেহেদির নকশা। তাই ঈদের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়ে যায় পছন্দের নকশায় হাত রাঙাতে। আবেদন থাকলেও মেহেদি পাতা বাটার ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছে বাজারের তৈরি টিউব মেহেদিগুলো। এ টিউব মেহেদিতেও কত বৈচিত্র্য। লাল, কালো—রঙের বৈচিত্র্য তো আছেই, সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে গ্লিটার। নানা রঙের গ্লিটার।
‘আদিকাল থেকেই সাজসজ্জায় মেহেদির চল রয়েছে। কিন্তু মনের মতো রং না হলে মেহেদি লাগানোর আনন্দই মাটি হয়ে যায়।’ বললেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। জানিয়ে দিলেন, একটু নিয়ম মানলেই মেহেদি থেকে পছন্দের রংটা পেতে পারি, যা হাতের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দেয়।
মেহেদির নকশা
এবারের ঈদের মেহেদির নকশা সম্পর্কে মেহেদিশিল্পী সায়মা ফাইরুজ বললেন, ফুল-পাতা ছাড়া মেহেদির নকশা অপূর্ণই থেকে যায়। তাই এই ঐতিহ্য এবারও থাকছে। তবে নতুনত্ব আনতে ময়ূর, কলকি, চরকা, পানপাতা দিয়ে আঁকা নকশা বেশ চলবে। হাত বড় হলে ভরাট নকশা ভালো লাগবে, আর ছোট হাতে এক পাশে লম্বালম্বি নকশা মানাবে—সায়মার পরামর্শ এটা। তাঁর মতে,
পোশাক যখন সালোয়ার-কামিজ, তখন হাতের তালুতে বেশি নকশা দিয়ে, ওপরটা হালকা রাখতে পারেন। কুর্তা বা লম্বা কামিজের সঙ্গে কনুই পর্যন্ত মেহেদি না পরাই ভালো।
আজকাল মেহেদি কেবল হাতের তালুতেই ঠাঁই পায় না। অনেকে বাজুতেও মেহেদি লাগান। হাতাকাটা কামিজের
মেহেদির রং গাঢ় করতে
ওয়াক্সিং করার দু-তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নয়তো আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
মেহেদি লাগানোর আগে আপনার হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। হাতের কাছে কাপড় বা টিস্যু রাখুন, যাতে অতিরিক্ত মেহেদি লেগে গেলে খুব দ্রুত মুছে ফেলা যায়।
মেহেদি শুকাতে শুরু করলে সামান্য লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেটি হাতে লাগান। এতে মেহেদির রং অনেক বেশি গাঢ় হবে।
সাধারণত সারা রাত হাতে মেহেদি রেখে দিলে রং ভালো হয়। রং গাঢ় করতে চাইলে মেহেদি শুকিয়ে গেলেও অন্তত আট ঘণ্টা পর্যন্ত হাতে পানি দেবেন না।
খরচাপাতি
বিউটি পারলারে মেহেদি দিতে খরচ পড়বে নানা রকম। শিশুদের জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। দুই হাত ভরে মেহেদি লাগালে খরচ পড়তে পারে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া হালকা নকশায় চেইনের মতো করে এক হাতে মেহেদি দিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাগতে পারে। তবে প্যাকেজে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
Comments