শান্তি ও ঐক্যের ডাক দিলেন দুই দেশের ৫৪ চিত্রশিল্পী
‘পিস্ অ্যান্ড ইউনিটি’ শিরোনামে কলকাতায় ভারত ও বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা যৌথভাবে আয়োজন করলেন এক ব্যাতিক্রর্মী চিত্র প্রদর্শনী।
আয়োজকরা বলছেন, শান্তি ও ঐক্য এই দুটি সত্য মানুষের অপরিহার্য। এমন দুটি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য মানুষেরই এগিয়ে আসতে হয়, হয়েছে এবং হবে। শুধু একটি দেশের পক্ষে এককভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় যদি তার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কোনও ঐক্য না থাকে। আর ঐক্য বজায় থাকতে হলে দেশের সরকারি কূটনীতিকদের পাশাপাশি থাকতে হবে সাধারণ মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, শিল্প সাহিত্যের যোগাযোগ, মেধার যোগাযোগ এবং সংস্কৃতির যোগাযযোগ- তাই এমন উদ্যোগ বলে জানান প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা লিভিং আর্ট।
ভারত সরকারের আইসিসিআর এর সহযোগিতায় কলকাতার হোঁ-চি-মিন সরণির নন্দলাল বোস গ্যালারিতে বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের এই যৌথ চিত্র প্রদর্শনী হল। প্রদর্শনীর শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল। চার দিনের আয়োজনের শেষ দিন বুধবার সেখানে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
দুই বাংলার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ, চিত্র শিল্পী ওয়াসিম কাপুর, ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্র পাল, কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসে নিযুক্ত উপরাষ্ট্রদূতের স্ত্রী লামিয়া রহমান আহাদ, চিত্র শিল্পী সমির আইচ, শংকর ঘোষ, দেবব্রত চৌধুরী প্রমুখ এই প্রদশর্নীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গ্যালারীতে ৯৪টি চিত্রকর্ম স্থান পায়। প্রদর্শনীতে ছিল ৮টি স্ক্রাপচারও। রোজ বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুই দেশের শিল্পীকের আঁকা ছবি দেখেন দর্শকরা।
আয়োজকদের অন্যতম চিত্র শিল্পী বিপ্লব গোস্মামী দ্যা ডেইলি স্টারকে বললেন, যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর অর্থ হলো, আমাদের শিল্পসত্বার ঐক্য তৈরি এবং এর মধ্যদিয়েই দুই দেশের মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
বাংলাদেশেল চিত্র শিল্পীদের মধ্যে শহিদ কবির, রনজিদ দাস, আশরারুল হাসান, দুলাল গাইন, বিপ্লব গোস্বামী, কাজি শহিদ, কামাল উদ্নি মিন্টু দেন, লামিয়া আহমেদ আহাদ এবং ভারতের রবিন মন্ডল, ধীরাজ চৌধুরী, ওয়াসিম কাপুর, শঙ্কর ঘোষ, তপন মিত্র, দেবব্রত চক্রবর্তী, বিভূতি অধিকারী, তারক দাস, নির্মল দাস, অজিত শীল চিত্র ছাড়াও অরুণ আগ্রির মতো চিত্র শিল্পীদের আঁকা ছবি জায়গা করেছে প্রদর্শনীতে।
Comments