প্রতি বছরই সংগীত উৎসব হবে: অণিমা রায়

Anima-Roy
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অণিমা রায়। ছবি: সংগৃহীত

অণিমা রায় একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এবার আয়োজন করছেন আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসবের।

দুদিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজন করা হবে উৎসবটি। সংগীত উৎসবের বিভিন্ন দিক নিয়ে আজ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন অণিমা রায়।

স্টার অনলাইন: এবারই কি প্রথম এমন উৎসবের আয়োজন?

অণিমা রায়: গত বছরে আমাদের সংগীত বিভাগ থেকে উৎসবের ঘরোয়া আয়োজন করেছিলাম। সেটাকে বড় পরিসরে করার জন্য এবারই প্রথম বিদেশি শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী বছরগুলোতেও এমন বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসবের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমদের। এর প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এখন থেকে প্রতি বছরই সংগীত উৎসব আয়োজন করা হবে।

স্টার অনলাইন: এ আয়োজনটার লক্ষ্য কি?

অণিমা রায়: দেশি-বিদেশি সুরের যেন একটা সুন্দর আদান-প্রদান হয়, সে জন্য ভালো একটা ক্ষেত্র হলো এই উৎসব। আমাদের দেশের সংগীত শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবেন। তাঁদের কাছে এটা হবে সুরের বিনিময়। অন্যদিকে বিদেশি শিল্পীরা পরিচিত হবেন আমাদের দেশের সংগীতের সঙ্গে।

স্টার অনলাইন: কতোটা উৎসব হয়ে উঠতে পারে এই আয়োজনটা?

অণিমা রায়: আমার বিশ্বাস, গানের জগতের অনেক মানুষের আনাগোনা হবে এই আয়োজনে। এটি হবে উঠবে শ্রোতা-শিল্পীদের মিলনমেলা – সংগীতের উৎসব। দুদিন সুরের আবহ বিরাজ করবে শিক্ষাঙ্গনে জুড়ে।

স্টার অনলাইন: সংগীত উৎসবে এই আয়োজনে কারা থাকছেন?

অণিমা রায়: আমাদের এই সংগীত উৎসবে থাকছেন চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের শিল্পীরা। চীনা দল তাদের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করবে। ইন্দোনেশিয়ার শিল্পীরাও তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বাদ্য পরিবেশন করবেন। সেতারের সুর পরিবেশন করবেন ভারতের শিল্পীরা।

আমাদের দেশের গুণী শিল্পীদের মধ্যে থাকছেন সাদি মহম্মদ, সুবীর নন্দী, শাহীন সামাদ, শামা রহমান, সামিনা চৌধুরী, লাইসা আহমদ, শফি মন্ডল, চন্দনা মজুমদার প্রমুখ।

স্টার অনলাইন: আপনাদের সংগীত উৎসবের জন্য শুভকামনা থাকলো।

অণিমা রায়: দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

1h ago