জীবনের অনুগল্প

লক্ষ্মী আমার একমাত্র প্রেম

‘তোমার সঙ্গে আমার নাকি প্রেম? এমনি তো বলছে সবাই।’ কথাটা বলে একটু মুচকি হাসলেন রাজ্জাক। একটু দূরে মেকআপটা ঠিক করছিলেন কবরী। কথাটা শুনে একটু হাসলেন। এটা ঠিক সম্মতি কিনা বোঝা গেল না। দাঁত খুঁটতে খুঁটতে বললেন, ‘আসলে কী জানো তোমার-আমার প্রেমটা রটিয়ে দিয়ে সিনেমার ব্যবসাটা করতে চাচ্ছে ওরা, আর কিছু নয়।’

কবরী কিছু না বলেই মিষ্টি করে হেসে দিলেন। খুব অনুচ্চস্বরে বলে উঠলেন, ‘হয়তো তাই।’

শ্যুটিংয়ের মধ্যেই সেটে এসে ঢুকলেন আজাচৌ। বিখ্যাত সিনে সাংবাদিক। রাজ্জাক-কবরীকে একসঙ্গে দেখে রহস্যময় কী বোঝাতে চাইলেন তিনি।

আজাচৌ রাজ্জাকের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কী নায়করাজ আজকাল নাকি বিভিন্ন জায়গায় দু’জনকে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। কয়েক মিনিট চুপচাপ থেকে রাজ্জাক বললেন, তা ঠিক। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছুই নেই।’

সত্যি কি কিছুই নেই? প্রশ্নটা শুনে কবরী একটু চোখ কুঁচকালেন। কিছুটা রাগতস্বরে বললেন, রাজ্জাকের চারটা বাচ্চা, আমার দুইটা বাচ্চা। আমাদের সংসার আছে। কী হচ্ছে এসব? কেন আমাদের জড়িয়ে এসব বলা হচ্ছে।

আজাচৌ চুপ হয়ে গেলেন। মনে মনে বিড়বিড় করে কী যেন বললেন। পরিচালক পরের শটের জন্য দু’জনকে ডাকলেন। দু’জন-দু’জনার চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন। মানেটা ঠিক বোঝা গেল না। শ্যুটিং শেষ হতে অনেক রাত হলো। কবরীকে তার বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছেন রাজ্জাক। সারাদিনের শ্যুটিংয়ের ক্লান্তিতে গাড়ির মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লেন।

ঘুমের মধ্যে লক্ষ্মীকে স্বপ্ন দেখলেন। তাদের বিয়ে হচ্ছে। লক্ষ্মী বললেন, ‘আমাকে তোমার পছন্দ হয়েছে? সুন্দর করে হেসে মুখটা ধরে আদর করে বললেন, তুমি আমার লক্ষ্মী, সত্যিকারের লক্ষ্মী।’

বিয়েটা করেছিলেন নাটকে অভিনয় করার জন্য। তখন রাজ্জাকের বয়স ১৯ বছর। বিয়ের পর কলকাতায় দাঙ্গা শুরু হলো। ১৯৬৪ সাল। কলকাতা থেকে অচেনা শহর ঢাকায় চলে এলেন। চেনাজানা বলতে জব্বার সাহেব। অচেনা শহরে বড় দিশেহারা হয়ে পড়লেন। কী করবেন ঠিক বুঝতে পারছেন না। কমলাপুর থেকে হাঁটতে হাঁটতে জব্বার খানের অফিসের সামনে এসে দাঁড়ালেন। মাথার ওপর গনগনে রোদ। কমলাপুর থেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন। পিয়নটাকে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন। মিনিট পাঁচেক পর ডাক এলো। জব্বার খান সাহেব সহকারী পরিচালকের একটা কাজ দিলেন। পরের দিন শ্যুটিংয়ে গিয়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। পাঁচ দিন মোটে কাজ করলেন। শেষের দিন কাউকে কিছু না বলে চলে এলেন শ্যুটিং থেকে। বাসায় ফিরে লক্ষ্মীকে জড়িয়ে কাঁদতে আরম্ভ করলেন। লক্ষ্মী বললেন, ‘এভাবে ভেঙে পড়বেন না। নিশ্চয় আপনার ভালো কিছু হবে। ধৈর্য ধরেন।’ সে রাতে একটুও ঘুমাতে পারলেন না। ভাবতে ভাবতে কখন সকাল হয়ে গেছে। সূর্য এসে চুমু দিয়ে গেছে রাতের ঠোঁটে। বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালেন রাজ্জাক। মাথার ভেতরে অনেক প্রজাপতি উড়ে যাচ্ছে। দুপুরে কী রান্না হবে জানা নেই। লক্ষ্মীর চোখের দিকে ঠিকমতো তাকাতে পারেন না। একটা অপরাধবোধ ছুঁয়ে যাচ্ছে। মুখটা ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে হাঁটতে হাঁটতে টেলিভিশন ভবনে এলেন। জামান আলী খান দেখলেন মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছেন। একটা নাটক করছি ‘ঘরোয়া’ নামে। অভিনয় করবে? প্রতি সপ্তাহে ৬৫ টাকা পাবে। রাজি হলে জানিও।’

মাথায় তখন আর কিছুই নেই। সম্রাট, বাপ্পা আর মেয়েটার মুখ-চোখের মধ্যে এসে ভিড় করল। মাথা দুলিয়ে ‘হ্যাঁ’ করলেন। ছোট ছোট অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে হলো রাজ্জাককে। এরই মধ্যে মাঝে মাঝে দেখা করতে যেতেন জহির রায়হানের সঙ্গে।

নাটকের শ্যুটিং শেষে ডিআইটি থেকে হাঁটতে হাঁটতে প্রতিদিন বাসায় ফিরতেন। রাস্তার ধারে সিনেমার পোস্টারের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। একদিন এমনি একটা পোস্টারের নিচে দাঁড়িয়ে মনে মনে উচ্চারণ করলেন, ‘একদিন আমার ছবির পোস্টারও এমন দেয়ালে সাঁটা থাকবে। সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখবে।’ পেছন থেকে একটা গাড়ি এসে রাজ্জাকের পেছনে এসে হর্ন দিল। দুঃখিত বলে আবার হাঁটতে শুরু করলেন। ফার্মগেটে নিজের বাসায় পৌঁছাতে এখনো বিশ মিনিট বাকি। কিন্তু স্বপ্নটা কিছুতেই দু’চোখ থেকে মুছছে না। একটা গাঢ় ঘোর দখল করে রয়েছে। ঘোরটা কাটতে খুব বেশি সময় লাগল না। একটু একটু করে স্বপ্নটা ছুঁয়ে যেতে থাকল। হঠাৎ করেই একদিন ডাক এলো। বাপ্পা তখন কী একটা ভেঙে ফেলেছে। লক্ষ্মী একটু রেগে গেছে। একজন এসে খবর দিল জহির রায়হান দেখা করতে বলেছে জরুরি। সবকিছু ভুলে সোজা তার বাসায়। ‘বেহুলা’র গল্প, চরিত্র সবকিছু বুঝিয়ে দিলেন দারুণভাবে। গল্প বলার আশ্চর্য এক ক্ষমতা জহির রায়হানের। ‘এটা যদি মনোযোগ দিয়ে করতে পারো, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’ মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না রাজ্জাকের। চুপচাপ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। সামনের চায়ের কাপে চা ঠান্ডা বরফ হয়ে গেছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিনেমার পোস্টার দেখার কথাটা মনের মধ্যে ছড়িয়ে গেল ভীষণ করে। অতঃপর বলে উঠলেন, ‘আমি পারব।’

বাসায় ফিরে লক্ষ্মীকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদলেন। কান্নাটা সুখের। সারারাত মনোযোগ দিয়ে পড়লেন স্ক্রিপ্টটা। প্রতিটা শব্দ, অক্ষর মনের মধ্যে গেঁথে নিলেন। ‘বেহুলা’র শ্যুটিং শুরু হলো কিছুদিন পর। প্রথম শট নেয়ার পর আলতো করে পিঠে হাত বুলিয়ে দিলেন জহির রায়হান। তার মানে ভালো হয়েছে।

বাসা থেকে সারাদিন বের হলেন না রাজ্জাক। কে একজন  এসে বলল, ‘হাউসফুল গেছে প্রতিটি শো।’ বাসা থেকে বের হয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বললেন। সুপার-ডুপার হিট হলো ‘বেহুলা’। সিলভার জুবিলি হলো সিনেমাটার। সেই অনুষ্ঠানে কত নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হলো। কত সম্পর্ক রচিত হলো নতুন করে। ততক্ষণে ঘুম ভেঙে গেছে ড্রাইভারের কথায়। গাড়িটি লক্ষ্মীকুঞ্জের গেটের সামনে এসে দাঁড়াল। তিন নম্বর ফ্লোর এফডিসির। রাজ্জাক একমনে মেকআপ নিচ্ছেন। নুরু নামে একজন স্পট বয় পাশে এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রয়েছে। কী একটা যেন বলতে চায়। রাজ্জাক বললেন, কীরে কিছু বলবি? মাথা নাড়িয়ে নুরু বলল, স্যার চারজন মেয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য অনেকক্ষণ থেকে অপেক্ষা করছে। অনেকবার বলেছি দেখা হবে না। কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা।’ রাজ্জাক মেকআপ নিতে নিতে বললেন, ‘নিয়ে আয়।’ আবার মেকআপ শুরু হলো। মেয়ে চারটা এসে মেকআপ রুমের মধ্যে দাঁড়াল। আয়নাতে তাদের দেখা যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে কী যেন বলাবলি করছে। এক সময় চারজনে একসঙ্গে রাজ্জাককে ধরে তুলে চুমু খেল পটাপট। রাজ্জাক হতবাক, বিস্মিত। ওদের মধ্যে একজন বলল, ইচ্ছে ছিল চুমু খাবার, খেয়ে নিলাম। অতঃপর চারজনে একসঙ্গে তিন নম্বর ফ্লোর থেকে বেরিয়ে হাওয়া। মেকআপম্যান আকবর বলল, কী হলো এটা! রাজ্জাক তাদের লিপস্টিক মুছতে শুরু করলেন। আকবর হাসতে হাসতে বলল, ‘এগুলো পেতে হলে ভাগ্য লাগে।’ নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দর্পচূর্ণ’ সিনেমার সেটের গল্প এটা। রাজ্জাককে মেয়েরা ভীষণ পছন্দ করে।

কবরীকে নিয়ে একটা সংবাদ বের হলো। তাদের মধ্যে প্রেম এখন গাঢ়। সংবাদটা দেখালেন জামান নামের একজন সহকারী পরিচালক। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লেন। বাসায় ফেরার পর দেখলেন লক্ষ্মী মুখটা ভার করে আছে। ‘আচ্ছা সত্যি করে বল তো কবরীর সঙ্গে তোমার কী প্রেমের সম্পর্ক?’ কী বলবেন ঠিক বুঝতে পারলেন না রাজ্জাক। লক্ষ্মীকে আলতো করে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে বললেন, ‘তুমি ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে আমার প্রেম নেই। একমাত্র প্রেম তুমি।’ তুমি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারি না।’ লক্ষ্মীর দু’চোখে কিছুটা জোছনা ছড়িয়ে পড়ল। সেই জোছনার নাম কী দেয়া যায়?

প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যায় আড্ডায় আজাচৌ, রাজ্জাকসহ আরো কয়েকজন। আজাচৌ জিজ্ঞাসা করলেন, নতুন কাজের কথাগুলো বললেন। এরপর নিজের মনে মনে উচ্চারণ করলেন, বাংলা সিনেমার নতুন ধারা আমাকে দিয়েই সূচনা হয়েছে। ‘বেঈমান, অনির্বাণ, স্লোগান, আলোর মিছিল, এখানে আকাশ নীল’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছি।

১৯৭৩ সালে জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি।’ আজাচৌ হাতটা রাজ্জাকের চোখের সামনে নিয়ে গিয়ে খেয়ালটা ভাঙালেন। দু’জনে অন্য কথায় মত্ত হয়ে গেলেন।’ ততদিনে রাজ্জাক নায়করাজ হয়ে উঠেছেন। হয়ে উঠেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের আইকন। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘ওরা ১১ জন’, এসএম শফির ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, বাবুল চৌধুরীর ‘প্রতিশোধ’, কাজী জহিরের ‘অবুঝ বউ’ রাজ্জাককে আইকনে পরিণত করেছে। তবে একটা অতৃপ্তি তাকে সবসময় কুরে কুরে খায়। কাউকে সেটা বোঝাতে পারেন না। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। না ঘুমিয়ে পরের দিন শ্যুটিংয়ে চলে যান। লক্ষ্মী সেটা দেখে, কিন্তু কিছুই বলে না। শিল্পী মানুষ। একটু-আধটু এমন হতেই পারে। হঠাৎ করে একদিন বললেন, ‘লক্ষ্মী আমি সিনেমা পরিচালনা করব। সিনেমার নাম ‘অনন্ত প্রেম’। আমার সঙ্গে থাকবে ববিতা। প্রেমের গল্প। একেবারে গভীর প্রেমের গল্প।’ লক্ষ্মী সায় দিলেন। ‘অনন্ত প্রেম’ ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেল। সেই বছরের আলোচিত সিনেমার তালিকার প্রথম দিকে ছিল ‘অনন্ত প্রেম’।

একদিকে কবরীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন। অন্যদিকে চাপ। একটা বিষাদের মধ্যে বসবাস নিত্যদিন। প্রথম প্রযোজনাতে সফল হয়েছেন। ‘রংবাজ’ সিনেমা তুমুল হিট। শহর, নগর, গ্রাম সবখানে ‘রংবাজ’ ছড়িয়ে গেছে। একদিন চুপচাপ বসে আছেন। একজন এসে তিন পাতার একটা গল্প দিয়ে গেলেন। শ্যুটিংয়ের অবসরে সেটাতে চোখ বুলিয়ে চমকে গেলেন রাজ্জাক। ‘এটাকে আমি সিনেমা বানাতে চাই’, পাশে বসে থাকা বন্ধু জহর বললেন, তুমি কী পাগল হয়েছো? এমন গল্পের সিনেমা করলে দর্শক নেবে না।’ রাজ্জাক মুচকি হেসে বললেন, ‘এটা নিয়েই ছবি বানাতে চাই। তুমি এটা নিয়ে গবেষণা করো, দেখবা দারুণ একটা কিছু হবে।’ জহর রাজ্জাকের খুব কাছে গিয়ে বললেন, ‘অ্যাকশন ছবি বানিয়ে তুমি পার পেয়ে গেছ। এই গল্পে দেখা যাচ্ছে তুমি নায়িকার কোলে মাথা রেখে মারা যাচ্ছ। ‘রংবাজ’ দিয়ে যা কামিয়েছ সব জলে যাবে। রাজ্জাক অট্টহাসি দিয়ে বলে উঠলেন, সেটা আমি দেখব, তুমি গল্পটা মনোযোগ দিয়ে তৈরি করো।’

এরপর কয়েকমাস অন্য সিনেমার শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। মাস তিনেক পর জহর এলো গল্পটা নিয়ে। ‘এই নাও তোমার গল্প’। সেদিন আজাচৌ ছিলেন। সবাই মিলে গল্পটা পড়া হলো। অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা চলল। পরের দিন কবরী এলো গল্প শুনতে। গল্প শোনার পর বলল, এই গল্প কি দর্শক নেবে? কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে রাজ্জাক বলল, তোমার-আমার জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে হবে। এখানে তুমি আমাকে ভালোবাসছ, কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসছি না। গল্পেও তাই আছে। গল্পটা শুনে কবরী রাজি হয়ে গেলেন। আসলে তখন রাজ্জাক-কবরী মানেই হিট।

‘বেঈমান’ শ্যুটিংয়ের সময় রাজ্জাক-কবরীর প্রেমটা নিয়ে আরো চর্চা শুরু হয়ে গেল সবখানে। পত্রিকায় তাদের প্রেমের রসালো খবর প্রকাশিত হলো। সব মিলিয়ে ছবিটির একটা হাইপ তৈরি হলো। ছবিটিতে রাজ্জাক কবরীর কোলে মাথা রেখে মারা যাচ্ছে। মুক্তির পর দর্শকদের ঢল নামল হল জুড়ে। এটার পরেই ‘অনন্ত প্রেম’ সিনেমাতে ববিতাকে নিয়ে অমর প্রেমের ছবিটি বানিয়েছিলেন। মনটা খারাপ করে বসে আছেন রাজ্জাক। লক্ষ্মী তার খুব কাছে এসে বসলেন। ভালো করে তাকিয়ে দেখে নিলেন মুখটা। তারপর আস্তে করে বললেন, কী হয়েছে, মনটা খারাপ নাকি? দেখলেন রাজ্জাকের চোখজোড়ায় পানি টলমল করছে। জানো লক্ষ্মী ‘অনন্ত প্রেম’ সিনেমার রিল এফডিসির ভল্টে রাখা ছিল, সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। এটা কিছু হলো বলো? লক্ষ্মী কী বলবেন ঠিক বুঝতে পারলেন না। মানুষটার সবজুড়ে শুধুই সিনেমা। এসব নিয়েই নিত্য বসবাস। কিছু না বলে মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিলেন। শিশুর মতো হু হু করে ডুকরে কেঁদে উঠলেন রাজ্জাক।

Comments

The Daily Star  | English

Portfolios of 7 advisers redistributed in major shakeup

Sk Bashir Uddin gets commerce, textile ministries; Farooki gets cultural affairs ministry

2h ago