স্বা স্থ্য ফি চা র

জীবনযাপনে ভুল অভ্যাস

ক্যান্সারসহ ভয়াবহ অসুস্থতার কারণ হতে পারে জীবনযাপনের বেশ কিছু ভুল। জেনে নিন এমন কিছু ভুল সম্পর্কে।

মোবাইল ও বালিশের দূরত্ব 
প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজন রাতের বেলা ফোন নিজের কাছে রাখেন এবং প্রায় অর্ধেক মানুষ এটাকে অ্যালার্ম হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন, মাথা এবং মোবাইল ফোনের কম দূরত্ব আপনার সুখনিদ্রার মান এবং পরিমাণ দুটোতেই নাটকীয় প্রভাব ফেলে। ঘুমের থেরাপিস্টদের মতে, কাছে ফোন রাখলে তা আমাদের উদগ্রীব করে তোলে, আমরা কল বা মেসেজের অপেক্ষা করতে থাকি। এর ফলে আমরা বিশ্রামে ডুবে চোখ বেশিক্ষণ বন্ধ রাখতে পারি না। এছাড়া মোবাইলের স্ক্রিনের মৃদু নীল আলো আমাদের চোখের রেটিনাতে প্রভাব ফেলে, যা আমাদের মস্তিষ্কে বার্তা পৌঁছে দেয়। 

কী করবেন
বালিশের নিচে ফোন নিয়ে ঘুমাবেন না। এটি মাথা থেকে কমপক্ষে ২০ সেমি দূরে রাখুন। সন্ধ্যা থেকেই নিজের কাছ থেকে ধীরে ধীরে সব প্রযুক্তিগত জিনিস সরিয়ে ফেলুন। এসব যন্ত্র ছাড়া সময় কাটান এবং ভালো ঘুমের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। সকাল না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল অন্য ঘরে রাখুন এবং অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। 

চেয়ার এবং পিঠের যথার্থ দূরত্ব 
ভয়াবহ পিঠ ব্যথার পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করে কম্পিউটার, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় পেছনের দিকে সহায়ক ও পিঠের দূরত্ব বলে সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ঘাড়ব্যথা থাকে যন্ত্রপাতি ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার না করার কারণে। প্রতিদিন একটানা আট ঘণ্টা ডেস্কে কাজ করা মানে দুর্যোগ টেনে আনা।

কী করবেন 
বসার সময় শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। মেঝেতে পা সমান করে রাখুন। 

ত্বকের স্বাস্থ্য
বেশিরভাগ মানুষই সানস্ক্রিন লাগাতে বিরক্ত বোধ করেন। এটা দরকার রোদ এবং এর থেকে সৃষ্ট দাগ থেকে বাঁচার জন্য, যা সাধারণত হয় ঘাড়, কান, কাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে মেলানোমা খুঁজে পাওয়া যায় পা এবং বাহুতে, পুরুষদের মধ্যে সমস্যার এলাকা হলো মাথা ও ঘাড়। এসব জায়গা রোদ থেকে দূরে রাখা দরকার বেশি, কারণ এসব জায়গাই সূর্যের প্রভাব ও ত্বকের ক্যান্সারের সঙ্গে জড়িত।

কী করবেন 
শরীরের প্রতিটি অংশে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন। নিয়ম অনুযায়ী ওপর থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ঘষুন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন কোনো অংশ বাদ গেল কিনা। সানস্ক্রিন নির্বাচনে সতর্ক হোন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

7h ago