যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার আগে যে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে একটি হলো, এখানে থাকার জায়গা নির্ধারণ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই যদি বলি, যে জায়গায় আগে কখনো যাইনি, দেখিনি, সেখানে দীর্ঘ একটা সময় থাকার...
ছোটবেলায় টেলিভিশনে বিভিন্ন দেশের তুষারপাতের ছবি দেখতাম আর মনে মনে ভাবতাম, আমাদের দেশে কেন তুষার পড়ে না। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ভাবনা-চিন্তা পাল্টে গেছে পুরোদস্তুর।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে, যারা স্কুল-কলেজে বেশ ভালো রেজাল্ট রাখলেও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে কিছুটা হোঁচট খাই। আর ভিনদেশ হলে তো কথাই নেই। ভিন্ন ভাষা থেকে শুরু করে নতুন সংস্কৃতি ও পরিবেশ, না বলা অনেক...
যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার অন্যতম ভালো দিক হলো এখানকার আউটডোর অ্যাক্টিভিটিস। যার যেটা পছন্দ, সে সেদিকেই সময় দেয়। এই স্বাধীনতায় কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
পুরো ক্যাম্পাসে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী ছাড়া এখন কারও দেখা মেলা ভার। ক্যাম্পাসের পরিচিত পথ এবং ডর্মগুলোয় যেখানে সবসময় শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা, কোলাহল চোখে পড়তো, এখন সে সবের কিছুই নেই। এমনটা হওয়া...
‘ব্লু গ্রাস’ বা নীলচে ঘাসের শহর কেন্টাকির লেক্সিংটন। আনুমানিক ১৬ শতকের দিকে কিছু ইউরোপীয় যারা ‘অদেখাকে দেখার উদ্দেশ্যে’ আমেরিকায় পাড়ি জমান, তাদের হাত ধরে আসে এই নীলচে-সবুজাভ ঘাসের বীজ। এই লেক্সিংটন...
দেশে যেমন এই সময়ে ফাইনাল পরীক্ষা চলতো, যুক্তরাষ্ট্রেও এই সময়ে সেমিস্টার প্রায় শেষের দিকে। কারও কয়েক ঘণ্টার কাগজে-কলমে পরীক্ষা, কারও গবেষণা প্রবন্ধ জমা দেওয়ার সময়, আবার কারও সর্বশেষ গবেষণা উপস্থাপন।...
ফল ব্রেক বা শরৎকালীন দুদিন ছুটির পর সবাই এখানে অপেক্ষা করে থাকে থ্যাংকসগিভিং ব্রেকের। বড়দিনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ছুটির সময় হলো এই থ্যাংকসগিভিং ব্রেক। প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার...
যেসব শিক্ষার্থী আগামী বছরের ‘ফল সিমেস্টার’ অর্থাৎ আগস্টের ফান্ডিং প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হতে চান, তাদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর সময় এখন।
পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে ভিন্ন সংস্কৃতিতে একা থাকতে হয় বলে সামান্য অসুস্থতাও ঝামেলার মনে হতে পারে। আবার সিমেস্টার চলাকালীন প্রচুর কর্মব্যস্ততার মাঝে সামান্য অসুস্থতাও অনেক বড় বিপত্তির কারণ...
হর্স ব্যাক রাইডিং, রক ক্লাইম্বিং, বিভিন্ন মৌসুমে হাইকিং, ক্যানোইং, ওয়াটার রাফটিং, কেভ (গুহা) কায়াকিং—কত যে অ্যাক্টিভিটির পরিবেশ আছে এই মার্কিন মুল্লুকে!
প্রায়শই চিন্তা করি, দেশে আমাদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে হল, খাবার ব্যবস্থা কিংবা লাইব্রেরি— সেসব থেকে কতটা ভিন্ন এবং পড়াশোনার উপযোগী এই ডর্ম আর এখানকার পরিবেশ। আসলে দুটোর মধ্যে তুলনাটা...
প্রতিটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকেই একাকীত্বের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেটা কারও ক্ষেত্রে কম, আবার কারও জন্য বেশি।
শীতের মৌসুমে যখন ক্লাস থেকে ফিরতে প্রায় রাত হতো, তখন নির্জন পথে পূর্ণিমা রাতে কুয়াশায় একাকী হেঁটে যাবার সময় প্রতিবারই মনে পড়েছে সত্যচরণের কিছু স্বভাষণ।
পড়ন্ত বিকেলে ফেরার পথে আরও একবার থামতে হলো হর্স ফার্মের পাশে। প্রফেসর গাড়ির জানালা নামিয়ে দিলেন, যাতে গোধূলি বেলায় সবুজ ঘাসে এই প্রাণীগুলোকে ভালো মতো দেখা যায়।
এখানকার অত্যধিক যান্ত্রিক জীবনে মানুষ যেমন পরিশ্রম করে, তেমনি কিছুটা সময় তারা রেখে দেয় জীবনকে উপভোগ করার জন্যেও।
মানুষের তো কত রকমের স্বপ্নই থাকে। কেউ বলেন একেকটি স্বপ্নের সীমা আকাশসম। আবার অনেকে এই সীমাকেও ছাড়িয়ে তুলনা করেন। শুনতে সারাদিন ‘মুখ ডুবিয়ে বই’ পড়ার মতো শোনালেও আমার স্বপ্ন ছিল পশ্চিমের মহাদেশের...
একেবারে দিগন্ত রেখার কাছে সাদা রঙের ফেন্স বা প্রাচীরঘেরা ফার্ম, নীলচে-সবুজ নরম ঘাসের সীমাহীন বিস্তৃত মাঠ আর প্রায়ই বর্ষণঘেরা দিনগুলো কৈশোরে পড়া ভিন দেশের বইয়ের প্রচ্ছদের কথাই মনে করিয়ে দেয়।