‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
‘প্রতিষ্ঠান ভেদে সুনির্দিষ্ট চাহিদা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন নীতি সহায়তা দেওয়া হবে।’
ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) টাকা লেনদেনের সুবিধার্থে ২০২২ সালের নভেম্বরে ‘বিনিময়’ চালু হয়।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে—রিজার্ভ বৃদ্ধি ও ডলারের স্থিতিশীল বিনিময় হারের ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত হয়েছে।
তাদের অনাদায়ী ঋণ (এনপিএল) আগের ঘোষিত তথ্যের চেয়ে চারগুণ বেশি।
অর্থনীতিবিদ ও নীতি নির্ধারকেরা যখন ডলারের উচ্চমূল্যকে দেশের দীর্ঘমেয়াদী মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করছেন, ঠিক তখনই টাকার মান কিছুটা বাড়তেই বাজারে হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ২০টি প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের প্রায় ২২ হাজার ১২৭ কোটি টাকার আমানত রয়েছে।
গত ১৬ বছরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই সিঙ্গাপুরের গল্প শোনাতেন। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প বলার সময় সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা করতেন। অথচ...
কোম্পানিটি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য যে নম্বরটি দিয়ে রেখেছিল তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসনের অভাব ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতি অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছে।
‘ইসলামী ব্যাংকের সব ব্যাংকিং কার্যক্রম ধর্মীয় বিধি মেনে চালানো হয়—এমন নিশ্চয়তা পেয়েই আমি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলি।’
দেশব্যাপী কারফিউ জারি ও পাঁচ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংকার ও এমএফএস প্রোভাইডারদের কর্মকর্তারা জানান, ১৮ জুলাই মধ্যরাত ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রেমিট্যান্স সংগ্রহ বন্ধ ছিল।
আগামী দু-একদিনের মধ্যে আরও কিছু ব্যাংক একই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, মুদ্রানীতির প্রধান হাতিয়ার নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখতে পারে কর্তৃপক্ষ। কারণ এটির বাড়ানোর তেমন সুযোগ নেই।
খেলাপিরা সব সময় ঋণ পরিশোধে ছাড় পান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা সাধারণ নাগরিকদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই পরিস্থিতির জন্য মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক দায়ী। কারণ তারা কঠোরভাবে তদারকি করেনি।
ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায়ের ব্যর্থতার কারণে আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। পাশাপাশি নতুন ঋণ দেওয়ার সক্ষমতাও কমে গেছে।