ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা আরও ৩ মাস বাড়তে পারে

ফাইল ছবি

ভোজ্যতেলের দাম কম রাখতে এর আমদানি ও পরিশোধনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কম রাখার সিদ্ধান্ত আরও ৩ মাসের জন্য বাড়াতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রাজস্ব প্রশাসন এ বিষয়ে কাজ করছে এবং দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

গত ১৬ মার্চ এনবিআর ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর এই ভ্যাট হ্রাসের সিদ্ধান্তে তেলের দাম কিছুটা কমে। স্থানীয় বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ২০০ টাকার ওপরে উঠেছিল।

এনবিআর ভ্যাট হ্রাসের এই সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করে। গত শুক্রবার এই সময়সীমা শেষ হয়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ জানিয়েছে, ঢাকায় খুচরা বিক্রেতারা গতকাল প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায় এবং বোতলজাত তেল ১৮৫ থেকে ১৯২ টাকায় বিক্রি করেছে।

সয়াবিন তেল আগের দরে বিক্রি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের মালিক মনোয়ার হোসেন।

গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চলতি বছরের ২৩ আগস্ট চতুর্থবারের মতো সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেল প্রয়োজন। স্থানীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে মাত্র ২ দশমিক শূন্য ৩ লাখ টন তেল পাওয়া যায়, বাকিটা আমদানি করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৫ লাখ ১৫ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭৫ হাজার টন কম।

গত ২০ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআর চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি পাঠিয়ে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত বা অপরিশোধিত পামতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট হার অব্যাহত রাখতে এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করে।

চিঠিতে বলা হয়, ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেলের দাম কমার সুফল বাংলাদেশের ভোক্তারা পাচ্ছেন না।

কিন্তু এনবিআর থেকে মন্ত্রণালয় কোনো সদুত্তর পায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago