ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ২৫ টাকা, বেগুন কেজিতে ২০

রাজধানীর কারওয়ান বাজার। ছবি: স্টার

ডিমের দাম ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ২৫ টাকা। এ মাসের শুরুর দিকে প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হতো ১১৫ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। বেড়েছে বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ২ সপ্তাহ আগে ছিল ১৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে। ২ সপ্তাহ আগে ছিল যথাক্রমে ১৭০ টাকা ও ৩০০ টাকা।

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ও পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লম্বা জাতের বেগুন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। ২ সপ্তাহ আগে লম্বা বেগুনের দর ছিল ৪০ টাকা ও গোল (সাদা) বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার। ছবি: স্টার

প্রতি কেজি ধুন্দল, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। করলার কেজি ৭০ টাকা, টমেটো ও গাজরের কেজি ১২০ টাকা করে।

শিমের দাম কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। জালিকুমড়া মাঝারি আকারের ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২ সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো সবজির দাম কমেনি। বরং বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রনি (৩৩) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাজারে সবজির সরবরাহ একটু কম। তাই দাম কিছুটা বাড়তি। কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম হয়ে থাকতে পারে।'

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার টাকা এবং ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা কেজি।

মাছের বাজারেও কিছুটা দাম বেড়েছে। রুই মাছ আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত কেজি, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার। ছবি: স্টার

ইলিশ মাছ আকার ভেদে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৬ টাকা থেকে ৯২ টাকা।

সাপ্তাহিক বাজার করতে কারওয়ান বাজার এসেছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মো. সায়েম (৪০)। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে বলা হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। কিন্তু, এখন তো আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে না। কিন্তু, দ্রব্যমূল্য তো ক্রমাগত বাড়ছে। এখন বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি। আসলে সিন্ডিকেটের কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে। আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষ হয় ভুক্তভোগী।'

Comments

The Daily Star  | English

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

6h ago