বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কসোভোতে বিনিয়োগের আহ্বান

বলকান অঞ্চলের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কসোভোতে বেশি করে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে কসোভোর উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। ছবি: সংগৃহীত

বলকান অঞ্চলের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কসোভোতে বেশি করে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে রিপাবলিক অব কসোভোর সফররত উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ডিসিসিআই সভাপতি এ আহ্বান জানান।  

২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং ২০২০ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে কসোভো ১ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে। এসব পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল তৈরি পোশাক এবং ঔষধ।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের উন্নয়নে দুই দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কার্যক্রম সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বাংলাদেশ থেকে কসোভোতে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রশিক্ষিত জনবল ও অবকাঠামো নেওয়ার প্রস্তাব করেন। 

রিজওয়ান রাহমান বলান, 'দুই দেশের ভৌগোলিক দূরত্বের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভার্চুয়ালি বি-টু-বি (বিজনেস টু বিজনেস) সেশন দেশ দুটোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।'

এদিকে কসোভোর উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতি জানান, তার দেশের মোট উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশই এসএমই খাতের এবং দুই দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, 'কসোভোতে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রমের লভ্যাংশের উপর শূন্য শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয় এবং দেশটি নিজস্ব মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহার করছে।'

এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কসোভোতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

তিনি দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে 'যৌথ অর্থনৈতিক কমিটি' এবং বি-টু-বি ফোরাম আয়োজনের প্রস্তাব করেন।

Comments