এলাকাভেদে নারী গার্মেন্টস কর্মীদের বেতনে ৬০ শতাংশ ফারাক: সানেমের সমীক্ষা

দেশে অঞ্চলভেদে নারী পোশাক শ্রমিকদের মজুরিতে ৫১ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ ফারাক দেখা গেছে। ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি প্রধান শিল্প এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গার্মেন্টস শ্রমিক
প্রতীকী ফাইল ছবি

দেশে অঞ্চলভেদে নারী পোশাক শ্রমিকদের মজুরিতে ৫১ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ ফারাক রয়েছে। ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি প্রধান শিল্প এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এই সমীক্ষা চালিয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, অঞ্চলভেদে পুরুষ পোশাক শ্রমিকদের মজুরির ব্যবধান ৪৫ শতাংশ থেকে ৫৪ শতাংশের মধ্যে।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা শহর, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং সাভারে ১ হাজার ৩০০ জন নির্বাচিত গার্মেন্টস শ্রমিককে নিয়ে সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা মাইক্রোফাইন্যান্স অপারচুনিটিজ (এমএফও)।

সানেম জানিয়েছে, সমীক্ষার উত্তরদাতাদের তিন-চতুর্থাংশই নারী, যা মোটামুটিভাবে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমশক্তির গঠনকে প্রতিনিধিত্ব করে।

বর্তমানে দেশজুড়ে অঞ্চলভেদে নারীদের মজুরির ব্যবধান ৯ হাজার ৪০৮ টাকা এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৭ হাজার ৯৪৭ টাকা থেকে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা।

সমীক্ষায় দেখা যায়, এপ্রিল-জুনের মধ্যে ওভারটাইম বাদে শ্রমিকদের মাসিক গড় আয় ছিল ৯ হাজার ৯৮৪ টাকা। এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের বেতন ছিল যথাক্রমে ৯ হাজার ৬৬৯ টাকা ও ১০ হাজার ৯২৮ টাকা।

মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের কত টাকা মজুরি হওয়া উচিত তারও একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে সানেমের সমীক্ষা প্রতিবেদনে। তারা বলেছে, ঢাকার জন্য মজুরি ১৯ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২২ হাজার ৯০০ টাকা, চট্টগ্রামের জন্য ২১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকা এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের জন্য ১৯ হাজার ২০০ থেকে ২২ হাজার ৯০০ টাকা।

জীবনমান বজায় রেখে খাদ্য, পানি, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, পোশাক এবং অপ্রত্যাশিত ব্যয় মেটানোর জন্য ন্যূনতম এই পরিমাণ মজুরি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments