১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা আসছে আগামী সপ্তাহে

অর্থায়ন করছে এডিবি, এআইআইবি এবং জাইকা
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চলতি অর্থবছরে সরকারের বাজেট ঘাটতি মেটাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তিন উন্নয়ন অংশীদারের কাছে থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আসছে।

এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে ২১৬ মিলিয়ন ডলার আসবে।

গতকাল মঙ্গলবার এআইআইবি ও এডিবি বোর্ড এই ঋণ অনুমোদন করেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জাইকার কাছ থেকেও ঋণের অনুমোদন আশা করা হচ্ছে।

কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কমবেশি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হওয়ায় বোর্ডগুলো ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে অর্থ জমা হবে।

তবে অর্থের এই প্রবাহ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ৪ দশমিক ৭ ডলার ঋণের দ্বিতীয় ধাপ  পাওয়ার শর্ত হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়নে উন্নীত করার জন্য যথেষ্ট নয়।

তিনটি ঋণের শর্তই এডিবি কর্তৃক সমন্বিত এবং প্রণয়ন করা হয়েছে, যা প্রধান অর্থায়নকারী হিসাবে কাজ করছে।

এডিবির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, 'এই শর্তগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সরকারি ব্যয় ও ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়তা, সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করাও এর অন্যতম লক্ষ্য।'

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, এসব শর্ত লৈঙ্গিক সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাইজেশন এবং দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য সরকারের আয় কর্মসূচি প্রণয়ন প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।

প্রধান শর্তগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ সংশোধনের জন্য সংসদীয় অনুমোদন নেওয়া।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ঋণদাতাদের সুপারিশগুলোকে সামঞ্জস্য করে গত ৮ জুন সংসদে আয়কর বিল ২০২৩ উত্থাপন করেন।

খসড়াটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে এবং কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আসন্ন আয়কর বিলে কিছু বিতর্কিত বিষয় ঋণদাতাদের শর্তে এসেছে, যেমন পূর্ববর্তী আয় বছরে বিদেশে ৪ লাখ টাকা (হজযাত্রা সংক্রান্ত ভ্রমণ ব্যতীত) ব্যয় করা ব্যক্তির বাধ্যতামূলক আয়কর রিটার্ন দাখিল করা।

আরেকটি শর্ত হলো নতুন ও উদীয়মান সমস্যা সমাধানের জন্য আয়কর সংক্রান্ত আইন একীভূত করা এবং সংশোধন করা। যেমন- ইন্টারনেটভিত্তিক বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর বেসিক শেয়ার প্রতি মুনাফা (বিইপিএস) স্থানান্তর, স্থানান্তর মূল্য, পুঁজিবাজারে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়।

সরকারকে অবশ্যই আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ সংশোধন করতে বা নির্বাচিত আয়কর ছাড় প্রত্যাহারের জন্য এসআরও জারি করতে সংসদীয় অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে।

(সংক্ষেপিত)

Comments

The Daily Star  | English
us tariff rates by country

Higher US tariffs take effect on dozens of economies

US duties rose from 10 percent to levels between 15 percent and 41 percent for a list of trading partners

1h ago