আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঘোষণা করে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ কেবল এক দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল।
‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুটি উদ্বেগের বিষয় হলো—কম রাজস্ব আদায় ও চলমান ডলার সংকট।’
২০২২-২৩ সালে অর্থনীতি বেড়েছে ছয় দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে—শিক্ষিত যুবকদের কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ফ্রিল্যান্সিং, বেসিক ইংরেজি ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
রুটটি গাবতলী থেকে শুরু হয়ে কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদ গেট, রাসেল স্কয়ার, কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, তেজগাঁও ও আফতাবনগর হয়ে দাশেরকান্দিতে শেষ হবে।
‘একের পর এক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশকেও করোনা মহামারি থেকে শুরু করে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ও পরবর্তী সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’
বুধবার পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকে উত্থাপিত নথিতে দেখা যায়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি খাতে গত চার অর্থবছরে প্রাক্কলিত বরাদ্দের চেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
‘যেহেতু রিজার্ভের ব্যবধান কম, কাজেই তৃতীয় কিস্তি ছাড় পেতে এটা কোনো সমস্যা হবে না।’
গত অর্থবছরে সরকার ২ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে
এই অব্যবহৃত ঋণ বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকার পরও তা ব্যবহারের সক্ষমতা না থাকার ইঙ্গিত, যা দেশের জন্য কোনো ভালো লক্ষণ নয়।
বাজেট ঘাটতি আইএমএফের শর্তের সীমার মধ্যে রাখতে এই ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা
তহবিলের মূল অর্থ পরিশোধ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুরু হয়। এর মেয়াদ সাধারণত ২০ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত থাকে। তবে ঋণ বিতরণের পর সুদ পরিশোধ শুরু হয়ে যায়। তাই, বাংলাদেশের জন্য সুদের খরচ বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে যে মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে তার অর্ধেকই স্থানীয় মুদ্রা টাকার অবমূল্যায়নের কারণে হয়েছে।
আগামী মার্চে বাংলাদেশকে ন্যূনতম ১৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার ও জুনে ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে ঢাকা কলম্বোকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল। পরে তাদের রিজার্ভের উন্নতি হওয়ায় পুরো অর্থ পরিশোধ করেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) চালানের পরিমাণের তথ্যে ব্যবধান ছিল ১২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার, যা অন্তত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।