খাদ্যশস্য রপ্তানি

রোমানিয়ার বন্দর হতে পারে ইউক্রেনের বিকল্প

ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি
রোমানিয়ার কনসতানতা বন্দর। ছবি: রয়টার্স

কৃষ্ণসাগর দিয়ে নিরাপদে ইউক্রেন ও রাশিয়ার খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ চলাচল চুক্তি মস্কো বাতিল করে দেওয়ার পর ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানিতে প্রতিবেশী রোমানিয়ার কনসতানতা বন্দর হয়ে উঠতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প।

গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কনসতানতা বন্দরের ম্যানেজার ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান ভিওরেল পানাইত বার্তা সংস্থাটিকে বলেছেন, 'রোমানিয়ার অনেক কৃষক কম দামে ফসল বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় আগামী আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্দরটি ইউক্রেনের পণ্য খালাসের সুবিধা দিতে পারবে।'

তিনি আরও বলেন, 'ইউক্রেনের কিছুদিন পর রোমানিয়ায় ফসল কাটা শুরু হবে। অনেক কৃষক তাদের ফসল বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মধ্যবর্তী সময়ে কিয়েভ ফসল রপ্তানির সুযোগ পেতে পারে।'

ভিওরেল পানাইত জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বন্দরের টার্মিনালের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন নতুন যন্ত্র কেনা হচ্ছে। এই বন্দর দিয়ে বছরে ২৫ মিলিয়ন টন পণ্য খালাস করা যায়।

'সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ সবাই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'পণ্য ট্রানজিটকে আরও গতিশীল করা প্রয়োজন।'

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, দানিয়ুব নদীবন্দর রেনি ও ইসমাইল দিয়ে পণ্য বহনের সক্ষমতা বাড়াতে ইউক্রেন কাজ করছে। রেলপথে নতুন নতুন বগি সংযোজনের পাশাপাশি পণ্য উঠানামার সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।

ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ। অন্যদিকে, রোমানিয়া হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ ফসল উৎপাদনকারী দেশ।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পূর্ব ইউরোপের যে ৫ দেশ দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বেড়েছে রোমানিয়া এর অন্যতম। এখন এই পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।

কনসতানতা বন্দর দিয়ে মূলত ভূ-বেষ্টিত হাঙ্গেরি ও সার্বিয়ার শস্য বেশি রপ্তানি হয়। নতুন করে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানিতে এ বন্দর ব্যবহার করা হলে এর ট্রানজিট ব্যবস্থার ওপর চাপ বেড়ে যাবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago