‘ইইউ জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশকে শ্রম আইন সংস্কার করতে হবে’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইউ, চার্লস হোয়াইটলি, জিএসপি প্লাস, এলডিসি, শ্রম আইন,
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, প্রস্তাবিত জিএসপি প্লাস ব্যবস্থার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে শ্রম আইনের সামঞ্জস্যের ওপর।

তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের (বিএলএ) চলমান সংশোধনী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করি, ত্রিপক্ষীয় অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং আইএলও'র কারিগরি সহায়তায় এই আইন সংশোধন করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যদি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধন না করে, তাহলে তা এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বড় বাধা হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর রেনেসাঁ হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও ইইউ'র যৌথ উদ্যোগে 'বাংলাদেশে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্মুক্তকরণ' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব বলেন।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের মধ্য দিয়ে এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য ব্যবস্থার অধীনে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সুবিধা শেষ হবে। তবে, ইবিএ'র বিকল্প হিসেব বাংলাদেশের কাছে জিএসপি প্লাসে প্রবেশাধিকারের সুযোগ আছে।

২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েশন হবে এবং ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এলডিসি বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে। কারণ, ইইউ এলডিসি থেকে উত্তোরণ হওয়া দেশগুলোকে তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ড সুবিধা দেয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতি সত্যিই বিস্ময়কর।

তিনি বলেন, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।

তিনি ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আট বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।

Comments

The Daily Star  | English
July Warriors Shahbagh road blockade

Shahbagh gridlocked as protesters demand July Charter finalisation

Although their numbers declined as rain began, the demonstrators continued to block the intersection

1h ago