ব্যাগেজ রুল সংশোধন করে স্বর্ণের বার আনা বন্ধের আহ্বান বাজুসের

বাজুসের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে স্বর্ণের বার আনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল' এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান রিপনুল হাসান আজ সোমবার সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, 'বর্তমানে ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে একজন মানুষ ট্যাক্স ছাড়া ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন। এটি পরিবর্তন করে ৫০ গ্রাম করা হোক। পাশাপাশি একই ধরণের অলংকার দুটির বেশি আনা যাবে না, এমন নিয়ম করা হোক।'

তিনি আরও বলেন, 'একজন যাত্রী বছরে শুধুমাত্র একবার ব্যাগেজ রুলের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে, এমন বিধানও করা প্রয়োজন।'

ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণের বার ও অলংকার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট ও চোরাচালানে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে বাজুসকে সঙ্গে নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আহ্বান জানান হাসান।

তিনি বলেন, 'দেশে অবৈধভাবে আসা স্বর্ণ ও হীরার সিকি ভাগও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নজরে আসছে না। ফলে নিরাপদে দেশে আসছে চোরাচালানের বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরার চালান। আবার একইভাবে পাচার হচ্ছে।'

বাংলাদেশে স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঝিনাইদহের মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত ব্যবহৃত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি উত্তরণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিয়মিত কড়া নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

বাজুস বলছে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ৯২৫ দশমিক ৯১৯ কেজি চোরাচালানের স্বর্ণ জব্দ করেছে। এ ছাড়া, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে এ সম্পর্কিত ঘটনায় ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ২৮৯টি মামলা করেছে।

সংগঠনটি বলছে, গত ১০ বছরে শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টম হাউস, বিজিবি, পুলিশ ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

3h ago