অ্যাম্বুলেন্স আমদানিতে কঠোর বিধিমালা

অ্যাম্বুলেন্স আমদানি
অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল/স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা মাইক্রোবাস আমদানিতে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় তা আরও কঠোর করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

অপব্যবহার রোধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে অ্যাম্বুলেন্স-যোগ্য গাড়ির যাত্রী কেবিনের ন্যূনতম দৈর্ঘ্য নয় ফুট হতে হবে। বর্তমানে টয়োটা নোয়াহ ও টয়োটা হাইয়েস মডেলের গাড়িগুলো অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে আমদানি করা হচ্ছে।

এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন নিয়ম অনুসারে যাত্রীবাহী কেবিন চাহিদা পূরণ না করায় নতুন অর্থবছর থেকে নোয়াহ গাড়িকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে আমদানি করা যাবে না।'

গত ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।

এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহারের জন্য মাইক্রোবাস আমদানি করলে গড়ে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্ক ছাড় পাওয়া যায়।

তারা আরও জানিয়েছেন, কেউ কেউ এই সুবিধায় মাইক্রোবাস আমদানি করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে নিবন্ধন নিচ্ছিলেন। নিববন্ধনের পর বেশকিছু গাড়ি রোগী পরিবহনের পরিবর্তে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করায় নিয়ম কঠোর করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের শুল্কের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ সাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ছয় হাজার ৫৭০ মাইক্রোবাস আমদানি হয়। সে সময়ে সরকার প্রায় ৮২০ কোটি টাকা শুল্ক ছাড় দেয়।

গত জানুয়ারিতে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে মাইক্রোবাস আমদানি করা হলেও কয়েকটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সেগুলোকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে।

বিশেষ করে, অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে আমদানি করা ছোট আকারের নোয়াহ গাড়িতে মূলত এর অপব্যবহার হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে অ্যাম্বুলেন্স আমদানি সুবিধার অপব্যবহার বন্ধে যাত্রীবাহী বগির ন্যূনতম দৈর্ঘ্য নির্ধারণসহ তিনটি পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়।

যানবাহনগুলো ইতোমধ্যে তাদের উত্পাদনকারী দেশে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় অ্যালার্ম ও লাইট স্থায়ীভাবে সংযুক্ত কিনা তা পরীক্ষার কথা অপর সুপারিশে বলা হয়েছে।

সংশোধিত নিয়ম মেনে অ্যাম্বুলেন্স আমদানি করা হলে অপব্যবহার কমে আসবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi Migrant Workers Deaths Over The Years

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

10h ago