১৫ বছরে আইসিটিতে খরচ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, বিশ্বমানে ভুটানের পেছনে
২০১০ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকার বিশাল বিনিয়োগ করেও টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি।
সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' উদ্যোগের আওতায় অনেক প্রকল্প চালু হলেও প্রত্যাশিত সুফল জনগণের কাছে পৌঁছায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আইসিটি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।
এতে আরও বলা হয়, বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দুই খাতের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ২০২৪ সালের জুন আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশ ১০০-এর মধ্যে ৬২ স্কোর করেছে। অর্থাৎ মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও ভুটানের পেছনে।
এ ছাড়াও, গত মে মাসে ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সে ভারত, কেনিয়া ও রুয়ান্ডার পেছনে থেকে মোবাইল ইন্টারনেট গতির দিক থেকে ১৪৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৯তম। ব্রডব্যান্ড গতির দিক থেকে অবস্থান ১০৮তম।
আইএমএফের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস ইনডেক্সে ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম। সার্ফশার্কের ২০২৩ সালের ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্সে ১২১টি দেশের মধ্যে পাঁচ ধাপ নেমে ৮২তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ।
তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময় বিকাশের ক্ষেত্র ফ্রিল্যান্সিংও পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। সিইও ওয়ার্ল্ডের এপ্রিল ২০২৪ প্রতিবেদন অনুসারে—ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় পিছিয়ে ৩০ ফ্রিল্যান্সিং গন্তব্যের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বারবার সময় বাড়ানোর পরও অনেক প্রকল্প সময়মতো শেষ হচ্ছে না।
তিনি প্রকল্পের সময় বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক করার ওপর জোর দেন।
খরচ কমানো, দীর্ঘসূত্রিতা এড়ানো ও সময়মতো কাজ শেষ করার জন্য নিয়মিত আপডেট দেওয়ার সুপারিশ করে তিনি বলেন, 'এসব প্রকল্প যথাযথভাবে শেষ হলে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হবে। দেশের জনগণ এর সুফল পাবে।'
Comments