আবার আলোচনা হবে, যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে আশা করি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনার প্রস্তুতি চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিকভাবে শুল্ক নির্ধারণ করবে বলে আশা করছেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস নিয়ে পরবর্তী দফার আলোচনার প্রস্তুতির জন্য অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই বৈঠকের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, 'আমাদের বিদ্যমান সক্ষমতা নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারব বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা আশা করছি যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ করবে। পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে আলোচনার সময়সূচির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।'
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী দফা আলোচনার সময়সূচি নিশ্চিত করবে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, পারস্পরিক শুল্কের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, 'কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে, আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা এখন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত সংগ্রহ করেছি।'
মাহবুবুর আরও বলেন, 'আমরা প্রস্তুত আছি। ভবিষ্যতে যে-সব বিষয় সামনে আসবে, সেগুলো আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করব।'
ব্যবসায়ীদের পক্ষে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এ পর্যন্ত সরকারের অগ্রগতি সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
পরবর্তী দফার আলোচনা থেকে একটি ভালো সিদ্ধান্ত আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এই ৩৫ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
Comments