মার্কিন শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতি

মাহমুদ হাসান খান। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা স্বস্তির বলে মনে করছেন বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

আজ শুক্রবার এক বার্তায় তিনি এই অভিমত জানায়।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে গত তিন মাস ধরে আমরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্য করা কঠিন। মার্কিন ক্রেতারাও পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা আমাদের জন্য স্বস্তির।

'আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের পণ্যে পাল্টা শুল্ক বেশি হলে ব্যবসা কঠিন হয়ে যাবে। তবে প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের পাল্টা শুল্ক এক শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। এ ছাড়া চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। এটি আমাদের জন্য বড় স্বস্তির।'

তিনি বলেন, বাড়তি পাল্টা শুল্কের কারণে সাময়িকভাবে ব্যবসা কমতে পারে। তার কারণ আগের থেকে পণ্য আমদানিতে বেশি শুল্ক দিতে হবে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে। এতে তাদের মূলধনে টান পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে তারা যদি বাড়তি অর্থায়নের সংস্থান না করতে পারে, তাহলে ক্রয়াদেশ কম দেবে। তা ছাড়া বাড়তি শুল্ক শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের ঘাড়ে গিয়েই পড়বে। শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতারা চাপে পড়বেন। তাতে পণ্যের বিক্রি কমে যেতে পারে।

'গত এপ্রিলে প্রথম দফায় সব দেশের পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। সেটি মার্কিন ক্রেতারা বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেছে। কোনো কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চাপে আমাদের সরবরাহকারীদের সেই বাড়তি শুল্কের ভাগ নিতে হয়েছে। আমি আমাদের বিজিএমইএর সদস্যদের বার্তা দিতে চাই, বাড়তি এই শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে। আর তারা দিন শেষে সেটি মার্কিন ভোক্তাদের ওপরই গিয়ে পড়বে। ফলে এই বিশেষ বার্তা পরিষ্কার থাকতে হবে।'

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চীনের ওপর এখন পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আছে ৩০ শতাংশ। শিগগিরই দেশটির ওপর চূড়ান্ত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যতদূর আভাস মিলছে, তাদের শুল্কহার আমাদের চেয়ে কম হবে না। ফলে দিন শেষে চীন থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হওয়া অব্যাহত থাকবে। তাতে আমাদের ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসবে। সেক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলো অনুকূলে থাকতে হবে। যেহেতু এখন পর্যন্ত আমরা চুক্তির খসড়া বা সার সংক্ষেপ শুধু জেনেছি বিস্তারিত পাইনি, তবে আশা করি আমাদের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল দেশের ও বাণিজ্য স্বার্থ বজায় রেখেই চুক্তি সম্পাদন সম্পন্ন করেছেন।

'আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পাল্টা শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশ কতগুলো প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি করেছে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। তার মধ্যে গম, তুলা, এলএনজি কেনার মতো স্বল্পমেয়াদি এবং উড়োজাহাজ কেনার মতো দীর্ঘমেয়াদি বিষয় আছে। মনে রাখতে হবে, এখানে কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা পুনরায় বিপদে পড়তে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

A floating mosaic of guavas, baskets and people

During the monsoon, Jhalakathi transforms into a floating paradise. Bhimruli guava market comes alive with boats carrying farmers, buyers, and tourists.

11h ago