আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সংঘর্ষে আহত ২০

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী ও সদ্য বরখাস্ত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের প্রধানসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ১৫ দৈনিক বাংলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী শাহীনুর গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান আমীর হোসেন বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ব্যাংকের তিনজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী লিটন (২৫), ইলিয়াস (৩৮), ফাহিম (১৯), রকি হোসেন (২৬), তোফায়েল (৩২), নূর আলম (৪২), আরিফ (২৫), জাকির হোসেন (২৫), সাগর (২৯), লুৎফর, ফারুক ও সোহেল।
বরখাস্ত কর্মীদের মধ্যে নুরুল আকিব (২৭), আরিফা খাতুন (২৭), মুক্তা আক্তার (২৯), নাঈমুদ্দিন (৩০) ও রেজাউল করিম (৩০) আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বরখাস্ত কর্মীদের নেতা জুবায়ের বিন রশিদ বলেন, গত ২০ জুলাই সারা দেশে মোট ৫৪৭ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। ২২ জুলাই থেকে তারা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।
তার দাবি, ব্যাংকের কর্মীরাই তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়েছেন।
পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি জানান, কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এক হাজার ৪১৪ জন চিহ্নিত কর্মীর মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, এর মধ্যে ৫৪৭ জন মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় তাদের বরখাস্ত করা হয়।
ব্যাংকটির বর্তমান কর্মকর্তাদের মতে, বরখাস্ত কর্মীরা ২৮ জুলাই সকালে হঠাৎ আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মূল ফটকে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন এবং আগ্রাসী আচরণ করতে থাকেন। এরপর থেকে টানা আটদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখেন।
Comments