যুক্তরাষ্ট্রে দেউলিয়া সুরক্ষার আবেদন চীনা প্রতিষ্ঠান এভারগ্রান্ডের

চীনা প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া কোডের চ্যাপ্টার ফিফটিনের অধীনে সুরক্ষা চেয়েছে। এই বিধানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করা হয়।
এভারগ্রান্ড
এভারগ্রান্ড গ্রুপ। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

চীনের ক্রমবর্ধমান আর্থিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় ঋণ পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছে চায়না এভারগ্র্যান্ড গ্রুপ।

গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে অনুসারে, গত সপ্তাহের শুরুতে চীন কয়েকটি ক্ষেত্রে সুদের হার কমিয়েছে। গত সোমবার দেশটির প্রধান ঋণের হার কমানোর কথা ছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনিতেই খুব দেরি হয়ে গেছে। চীনের অর্থনীতির নিম্নগামিতা থামাতে আরও শক্তিশালী উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলেও মনে করছেন তারা।

২০২১ সালের মাঝামাঝি অর্থ সংকটের মুখে চীনের একসময়ের শীর্ষ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান এভারগ্রান্ড ঋণ সংকটে পড়ে।

চীনা প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া কোডের চ্যাপ্টার ফিফটিনের অধীনে সুরক্ষা চেয়েছে। এই বিধানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করা হয়।

যদিও এই উদ্যোগকে একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এভারগ্রান্ডের আবেদন এই ইঙ্গিত দেয় যে প্রতিষ্ঠানটি ঋণদাতাদের সঙ্গে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষের দিকে আছে।

গতকাল এভারগ্র্যান্ডের এক নথিতে দেখা যায়, হংকং ও ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের কাছে অফশোর ঋণ পুনর্গঠনের আওতায় চুক্তির স্কিমগুলোর স্বীকৃতির জন্য প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন আদালতে আবেদন করবে। কেননা, এর ডলারগুলো নিউইয়র্কের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

নথিতে বলা হয়, 'অফশোর ঋণ পুনর্গঠনের জন্য আবেদনটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এটি দেউলিয়া আবেদনের সঙ্গে জড়িত নয়।'

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শুনানির সময় চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে এভারগ্রান্ড।

এভারগ্রান্ড ৩১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের অফশোর ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন করেছে। এর মধ্যে আছে বন্ড, জামানত ও পুনঃক্রয়ের বাধ্যবাধকতা।

প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসের শেষের দিকে ঋণ পুনর্গঠনের প্রস্তাব নিয়ে ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago