‘লাল স্বর্ণ’ নিয়ে আশাবাদী আফগানিস্তান

জাফরান
আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে জাফরান সংগ্রহ। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

আফগানিস্তানে জাফরানকে সমীহ করা হয় 'রেড গোল্ড' বা 'লাল স্বর্ণ' হিসেবে। যেমন, পাটকে এদেশে বলা হয় 'সোনালি আঁশ'।

গত শনিবার সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানায়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর আফগানিস্তানে জাফরানের বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দামি ফসল বিদেশে বিক্রি করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা আফগানিস্তান প্রচুর আয় করবে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাফরান উৎপাদনে ইরানের পর প্রতিবেশী আফগানিস্তান অবস্থান দ্বিতীয়। গত জুনে বেলজিয়ামভিত্তিক খাদ্য-পানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল টেস্ট ইনস্টিটিউট আফগানিস্তানের জাফরানকে 'বিশ্বসেরা' হিসেবে আখ্যা দেয়। গত নয় বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি এই তকমা ধরে রেখেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা জাফরানের প্রতি কেজির দাম দুই হাজার ডলার।

এ বছর আফগানিস্তানে জাফরান পাওয়া যেতে পারে ৫০ টন। গত দুই বছরে সেখানে জাফরান উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আফগান সরকার ও দেশটির ন্যাশনাল স্যাফরন ইউনিয়ন জাফরান রপ্তানি বাড়ানোর চিন্তা করছে।

আফগানিস্তানের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুলসালাম জাওয়াদ আখুন্দজাদা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, 'এ বছর জাফরানের ফলন ভালো হয়েছে। গত নয় মাসে ৪৬ টন জাফরান রপ্তানি হয়েছে।'

যারাই জাফরান রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেবেন আফগান সরকার তাদের সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।

আফগানিস্তানের শুষ্ক আবহাওয়া জাফরান চাষে উপযুক্ত। সেখানে জাফরান চাষ অন্তত দুই হাজার বছরের পুরোনো। দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ জাফরান চাষ হয় হেরাত অঞ্চলে। জাফরান সংগ্রহ শুরু হয় অক্টোবরে। তা চলে নভেম্বর পর্যন্ত।

গত সপ্তাহে হেরাতে আন্তর্জাতিক জাফরান বাণিজ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।

আফগানিস্তান ন্যাশনাল স্যাফরন ইউনিয়নের প্রধান মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদিল সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বিশ্বমান বজায় রাখতে জাফরান বাণিজ্যে জড়িত সবাইকে এক ছাদের নিচে আনতে এই বাণিজ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। জাফরান চাষিরাও এখান থেকে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

আফগানিস্তানের জাফরান মূলত রপ্তানি হয় ভারতে। এরপর রপ্তানি হয় সৌদি আরব ও আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে।

ন্যাশনাল স্যাফরন ইউনিয়নের হিসাবে জাফরান প্রতি অর্থবছর আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার যোগ করে। এই খাতে শ্রমিকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ নারী।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

4h ago