বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসে বিপিএস’র র‌্যালি ও ফটো আউটিং

‘বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে যাক, বাংলাদেশের আলোকচিত্রের ডাক’
র‌্যালিতে অংশ নেওয়া আলোকচিত্রীদের একাংশ। ছবি: বিপিএসের সৌজন্যে

'বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে যাক, বাংলাদেশের আলোকচিত্রের ডাক'। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির (বিপিএস) উদ্যোগে আজ শনিবার উদযাপিত হয়েছে ১৮৪তম বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস।

এ উপলক্ষে দেশের আলোকচিত্রীদের নিয়ে র‌্যালি ও ফটো আউটিংয়ের আয়োজন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বিপিএস সভাপতি আশফাক আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসে সবার প্রতি অনেক অনেক শুভ কামনা। আজ দেশের স্বনামধন্য আলোকচিত্রীরা বিপিএসের আয়োজনে অংশ নিয়েছেন এবং আনন্দঘন পরিবেশে দিবসটি উদযাপন করেছেন।'

তিনি বলেন, 'দেশের আলোকচিত্র অঙ্গনে বিপিএসের অবদান নিরন্তর। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আজকের এই দিনে আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের প্রতি, যারা নিজেদের কাজের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত করে চলেছেন। দেশজুড়ে আমাদের সদস্যদের প্রতি রইল শুভেচ্ছা। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাব।'

বিপিএসের সাংগঠনিক সচিব জাকিরুল মাজেদ কনক বলেন, 'সরকারের কাছে আমরা একটি আলোকচিত্র সংগ্রহশালা চাই। যেন আলোকচিত্রীরা তাদের তোলা ছবি সেখানে সংরক্ষণ করতে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষণ করতে গিয়ে নানা কারণে সেগুলো নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে, এমনকি অনেক আলোকচিত্রীর ছবি নষ্ট হয়েছে। সরকারিভাবে একটি সংগ্রহশালা থাকলে আর কারো ছবি নষ্ট হবে না। অনেক বড় বড় আলোকচিত্রীর ছবি মাস্টারপিস হিসেবে থেকে যাবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ছাড়া, আলোকচিত্রের ওপর সরকারিভাবে স্নাতক কোর্স চালু করার দাবিও রয়েছে আমাদের। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে এই উদ্যোগটি খুবই জরুরি।'

বিপিএস আয়োজিত র‌্যালিটি আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শেষ হয়। সেখানে আলোকচিত্রীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

তারা আহ্বান জানান, আলোকচিত্রের সব প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, অঙ্গ সংগঠন একযোগে কাজ করার মাধ্যমে যেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপিএসের স্থায়ী পরিষদের প্রধান নাফিস আহমেদ নাদভি, সহ-সভাপতি আবু সাইদ ইলিয়াস, স্থায়ী পরিষদের সদস্য শংকর শাঁওজাল, বেগার্ট প্রধান ইমতিয়াজ আলম বেগ, বাবুল আব্দুল মালেক, এফবিসিসিআই পরিচালক আক্কাস মাহমুদ প্রমুখ।

Comments