৮ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি

ব্যাংকগুলো হলো- অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংক।
১৫ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি

চলতি বছরের জুন শেষে পাঁচটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ আটটি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যা মূলত এসব ব্যাংকের ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

ব্যাংকগুলো হলো- অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংক।

এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক সবচেয়ে বেশি ঘাটতির মুখে পড়েছে এবং ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ১১ হাজার ৬৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফার ০.৫ থেকে ৫ শতাংশ সাধারণ ক্যাটাগরির ঋণের বিপরীতে প্রভিশন হিসেবে রাখতে হয়ে, নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ এবং ৫০ শতাংশ সন্দেহজনক খেলাপি ঋণের বিপরীতে রাখতে হয়।

এছাড়া, ব্যাংকগুলোকে মন্দ বা লোকসান ক্যাটাগরির খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশনিং আলাদা রাখতে হবে।

প্রভিশন ঘাটতি ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি অশনি সংকেত, কারণ এটি ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে। যা মূলত উচ্চ খেলাপি ঋণের ফল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের সার্বিক প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২১ হাজার ৪৬৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা আটটি ব্যাংকের চেয়ে কম। মার্চ পর্যন্ত সার্বিক প্রভিশন ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ২৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

Comments