ব্যাংকে টাকা রাখার প্রবণতা কমেছে

বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বাংলাদেশের কোটিপতি,

চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং কিছু ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা কমায় গত বছরের নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে টাকা জমানোর পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে, ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর বাইরে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা ছিল, যা এক মাস আগে বা ডিসেম্বরে ছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এর ব্যাংকের বাইরে টাকা রাখার প্রবণতা বাড়তে শুরু করে, ওই মাসে ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে যা ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তবে জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর বাইরে টাকার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে।

জনগণের কাছে নগদ অর্থ বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকাররা ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে দায়ী করেছেন। এছাড়া, ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপ ও আমানতকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতিও এজন্য দায়ী।

জানুয়ারিতে ব্রড মানি ছিল ১৯ লাখ ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাতের বাইরে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা এবং বাকি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ব্যাংক খাতে জমা দেওয়া হয়েছে। ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার মধ্যে ডিমান্ড ডিপোজিট ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা এবং টাইম ডিপোজিট ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান বলেন, 'এই প্রবণতার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। ঋণ অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির কারণে কয়েকটি ব্যাংক হিমশিম খাচ্ছে,

তাই গ্রাহকরা তাদের অর্থ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ফলে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিজেদের কাছে রাখছেন।'

তিনি বলেন, 'জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় ভোগ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে মানুষ সঞ্চয়ে ভাঙাতে বাধ্য হচ্ছে।'

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ থেকে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা মনে করছেন, আমানত সংগ্রহে ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদহার দেওয়ায় আগামী মাসগুলোতে ব্যাংকের বাইরের টাকার পরিমাণ কমবে।

Comments

The Daily Star  | English

India curbs import of Bangladeshi jute, woven fabrics, yarn

However, the products will be allowed to be imported only through Nhava Sheva seaport in Maharashtra

2h ago