আগস্টে মোবাইল গ্রাহক বেড়েছে ১২ লাখ
চলতি বছরের আগস্টে প্রায় ১২ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররা। এ নিয়ে টানা অষ্টম মাসের মতো মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ৮৬ লাখে পৌঁছেছে, যা এক মাস আগে ছিল ১৮ কোটি ৭৪ লাখ।
তবে, জুলাইয়ে অপারেটররা প্রায় ১৪ লাখ গ্রাহক পেয়েছেন, যা এক বছরের মধ্যে কোনো মাসে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি।
রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও গ্রামীণফোনের গ্রাহক বাড়লেও রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের গ্রাহক কমেছে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা গ্রাহকদের রবির নেটওয়ার্কের প্রতি আকৃষ্ট করছে।
'আমরা বিনিয়োগ, নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন অব্যাহত রেখেছি এবং ২৬০০ ব্যান্ড স্পেকট্রাম স্থাপন করছি, যেটি গত বছর নিলামে কেনা হয়েছিল,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'রবি ৫০ শতাংশ সাইটে ২৬০০ ব্যান্ড স্পেকট্রাম স্থাপন করেছে, যেখানে উচ্চ মাত্রার ডেটা ট্র্যাফিক আছে।'
বার্ষিক ভিত্তিতে রবির গ্রাহক বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম অপারেটর বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা আগস্টে প্রায় ৪ দশমিক ২ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখে।
বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, 'বাংলালিংক উন্নত মানের সেবা নিশ্চিত করা, স্পেকট্রাম অধিগ্রহণের মাধ্যমে গতি বজায় রাখা এবং সারা দেশে নেটওয়ার্ক কভারেজ সম্প্রসারণের দিকে মনোনিবেশ করেছে।'
'গত ১৮ মাসে আমাদের নেটওয়ার্ক কভারেজ ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু উন্নত মানের সেবার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়ানো নয়, মাইবিএল অ্যাপ ও টফি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা দেওয়া,' বলেন তিনি।
বার্ষিক ভিত্তিতে আগস্টে বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ১০ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা আগস্টে আড়াই লাখ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮ কোটি ২১ লাখে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু, বার্ষিক ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। কারণ সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যে প্রভাব পড়েছিল তা থেকে এখনো পুরোপুরি উঠতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের ২৯ জুন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রামীণফোনের 'কল ড্রপ রেট কমানোসহ সেবার মান উন্নত না হওয়া পর্যন্ত' সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করে। পরে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞায় গ্রামীণফোন হারিয়েছে প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহক।
এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক আগস্টে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে, যার ফলে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬৪ লাখ ৫০ হাজারে নেমে এসেছে।
Comments