এফডিএর অনুমোদন পেল এসকেএফের ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ উৎপাদন কারখানা

দেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ উৎপাদন কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (ইউএস এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ফারাজ আয়াজ হোসেন ভবন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ উৎপাদন কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (ইউএস এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসকেএফ এ মর্যাদাপূর্ণ অনুমোদন পেল।

এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এসকেএফের সর্বাধুনিক কারখানায় উৎপাদিত ইনজেকশনযোগ্য ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানির পথ সুগম হলো।

এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিমিন রহমান বলেন, 'এটি এসকেএফের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে আমরা এখন আমাদের উচ্চ প্রযুক্তির ইনজেকশনযোগ্য ওষুধের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সক্ষমতা দেখাতে পারব।'

আমরা এমন সব ওষুধ উৎপাদনে কাজ করছি বর্তমানে যেগুলো রোগীরা পাচ্ছেন না। এ যাত্রায় আমাদের লক্ষ্য প্রযুক্তি নির্ভর এ ধরনের জটিল ওষুধ তৈরি করা। আমি বিশ্বাস করি এসকেএফের মেধাবী কর্মীরা আমাদেরকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, মানবতার সেবায় এসকেএফের পথচলায় সবসময় সামনে থাকে গুণগত মানের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার। এ বছরের শুরুতে আমাদের তৈরি মুখে খাওয়ার ওষুধ ইউএস এফডিএ এর অনুমোদন পায়। এবার ইনজেকশনযোগ্য ওষুধ অনুমোদন পেল। এই অনুমোদন বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ মানের ওষুধ প্রস্তুতকারক হিসেবে আমাদের অবস্থানকে দৃঢ় করেছে।

ইউএস এফডিএ ছাড়াও এর আগে যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, ইইউ জিএমপি, ব্রাজিলের এএনভিসা ও অস্ট্রেলিয়ার টিজি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এসএএইচপিআরএ এর মতো ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে এসকেএফ।

বাংলাদেশে ব্যবসা ক্ষেত্রে নৈতিকতার পথিকৃত প্রয়াত লতিফুর রহমানের প্রতিষ্ঠা করা ট্রান্সকম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ৩২ বছর ধরে ওষুধ উৎপাদন করছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ছয়টি মহাদেশের ৬৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।

 

Comments