‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার’ পাচ্ছে ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠান
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২' প্রদান করা হবে।
নির্বাচিত ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে দুইটি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে দুইটি। এই বছর হস্ত ও কারু শিল্প ক্যাটাগরিতে কোনো প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়নি।
আজ রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ও শিল্প উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানকে শিল্পখাতের অবদানের স্বীকৃতি, প্রণোদনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
বেসরকারি খাতে পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ উৎসাহিত করাসহ পণ্য বহুমুখীকরণ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি নির্ভর ও মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে এই পুরস্কার প্রবর্তন দেশে শিল্পায়নের অভিযাত্রায় আরও সৃজনশীল উদ্যোক্তা তৈরি ও বিকাশে সহায়ক হবে।
এতে আরও বলা হয়, এছাড়া নিয়মিত কর পরিশোধ করতে হবে। কোনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য কোনো ট্রাইব্যুনাল বা আদালত কর্তৃক ৬ মাস বা ততোধিক সময়ের জন্য কোনো উদ্যোক্তা/শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিককে দণ্ডিত করলে এবং দণ্ডভোগের পর ন্যূনতম ২ বছর সময় পার না হলে কিংবা তার বিরুদ্ধে কোনো ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে কোনো মামলা চলমান থাকলে, সেই শিল্প উদ্যোক্তা/শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হয়নি।
ঋণ খেলাপি, সরকারি বিল খেলাপি, কর খেলাপি, অর্থপাচারকারী, সরকারি জায়গায় অবৈধ দখলদার ও পরিবেশ দূষণকারী শিল্প উদ্যোক্তা/শিল্প প্রতিষ্ঠানও এই সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয় না। উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে কোনো প্রতিষ্ঠান একবার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলে, একই ক্যাটাগরিতে পরবর্তী তিন বছরের জন্য তার আবেদন বিবেচনা করা হয় না।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডে, দ্বিতীয় হয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে নিতা কোম্পানি লিমিটেড, দ্বিতীয়য় হয়েছে নোমান টেরি টাওয়াল মিলস লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে টেকনো মিডিয়া লিমিটেড। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধুমাত্র গ্রিন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে সামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস। হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং দ্বিতীয় হয়েছে সুপার স্টার ইলেক্ট্রিক্যাল এক্সেসরিজ লিমিটেড।
আগামী ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ঢাকায় এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিজয়ীদের কাছে পুরস্কার তুলে দেবেন।
Comments