গ্যাস পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি চান বস্ত্র কারখানার মালিকরা

যথাযথ কাগজপত্র ও মান পরীক্ষা ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সুতা দেশে প্রবেশ করায় ভারত থেকে সব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার দাবিও তারা জানিয়েছেন।
গ্যাস সংকট
জ্বালানি সংকটের কারণে বেশিরভাগ বস্ত্র কারখানা এখন ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ছবি: সংগৃহীত

বস্ত্র কারখানার মালিকরা অন্তর্বর্তী সরকারকে গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নত করতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশিরভাগ কারখানা এখন ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে।

পোশাক কারখানাগুলো উৎপাদন চলমান রাখতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় জরুরি ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলার উন্নতির আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

যথাযথ কাগজপত্র ও মান পরীক্ষা ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সুতা দেশে প্রবেশ করায় ভারত থেকে সব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার দাবিও তারা জানিয়েছেন।

বস্ত্র কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সুতা আমদানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কারণ সেখানে পণ্যের মান পরীক্ষার সুবিধা আছে।

ভারত থেকে আমদানি করা সুতার মান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পরীক্ষা করানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতারা সংবাদ সম্মেলনে জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঋণপত্রে উল্লিখিত পরিমাণের দ্বিগুণ পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।

বিটিএমএর সহ-সভাপতি মো. সালেদ জামান খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত আট মাস ধরে ভুলতা, গাউসিয়া, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে বস্ত্র কারখানার মালিকরা গ্যাসের চাপ কম থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।'

ডিজেল, সিএনজি ও পেট্রোলিয়াম গ্যাস দিয়ে বস্ত্র কারখানা চালানো হলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

তাদের ভাষ্য, কারখানাগুলো মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে। সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো পিছিয়ে পড়ছে।

গত ২-৩ বছরে দেশে গ্যাসের দাম ৪০০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে।

বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার জন্য বাংলাদেশ সত্যিই যোগ্য কিনা তা পর্যালোচনা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।'

গত সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় তথ্যের ভুল হিসাবের কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।

গত দুই মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দিতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি মনে করেন, দেশীয় শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত বস্ত্র খাতকে প্রণোদনা দেওয়া।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমনটি আশা করে তিনি আরও বলেন, 'পোশাক কারখানাগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এটি খুবই জরুরি।' তিনি ও বিটিএমএর অন্য সদস্যরা সম্প্রতি পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের জন্য 'বহিরাগতদের' অভিযুক্ত করেছেন।

বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কয়েক শ পোশাক কারখানা বন্ধ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো বস্ত্র কারখানায় হামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিটিএমএ নেতারা।

Comments

The Daily Star  | English
quota reform movement,

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of the people who died during the student-led mass protests in July and August.

4h ago