বকেয়া ও কারখানা খোলার দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ

পোশাক শ্রমিক
আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাইপাইল এলাকায় ও ডিওএইচএস সামনে মহাসড়কটির দুটি জায়গায় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা।

দুপুর ১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাদের অবরোধ চলছিল।

গত ২৭ আগস্ট নোটিশ বার্ডস গ্রুপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে কারখানায় কাজ নেই। এরপরও কারখানা কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে আর্থিক লোকসানের মধ্য দিয়ে ব্যবস্যায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিল।

শত চেষ্টা করেও কারখানাটি নতুন কার্যাদেশ পায়নি। কাজ জোগাড় করা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে নেই।

এমন পরিস্থিতিতে গত ২৮ আগস্ট থেকে গ্রুপটির আর এন আর ফ্যাশনস লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্টস লিমিটেড, বার্ডস ফেডরেক্স লিমিটেড ও বার্ডস এ এন্ড জেড লিমিটেডের সব বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শ্রমিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, গত তিন মাসের বেতন বকেয়া হয়ে আছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করেছে। পাওনা টাকা পরিশোধ ও কারখানা খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।

দাবি মেনে না নিলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও তারা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বার্ডস গ্রুপ কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরে, বিজিএমইএ, শ্রমিকসহ সব পক্ষের বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ গ্রুপটির শ্রমিকদের যাবতীয় আইনগত পাওনাদি পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু যতদূর জানতে পেরেছি, বার্ডস কর্তৃপক্ষ আজ শ্রমিকদের সেসব পাওনা পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন।'

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।'

আজ সকাল থেকে আশুলিয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা খোলা আছে বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক। লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে এলেও পরে ফিরে গেছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করছেন। আজ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় নো ওয়ার্ক নো পের ভিত্তিতে ১১টি, ও সাত কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

9h ago