সাভারে টানা ১৬ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ ২ বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের

শ্রমিক বিক্ষোভ
বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা ইপিজেডের সামনে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: স্টার

বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা ইপিজেডের সামনে টানা ১৬ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করছে চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা।

আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভের পাশাপাশি তারা একাধিকবার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দাবি আদায়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়।

শ্রমিকদের অবরোধের মুখে সড়কটির উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চার বছর আগে কারখানা বন্ধ হলেও এখনো তাদের বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। বারবার তারিখ দিয়েও কথা রাখছে না বেপজা কর্তৃপক্ষ। পাওনা পরিশোধ না করা হলে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারখানাটির শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা আছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক একাধিকবার অবরোধ করেন। তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

'বেপজা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত চারবার তারিখ দিলেও পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি। শ্রমিকরা বলছেন পাওনাদি পরিশোধ করা না হলে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।'

গতকাল বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) আনোয়ার পারভেজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলস দুটি কারখানা একই মালিকের প্রতিষ্ঠান। শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। লেনী আ্যপারেলস ইতোমধ্যে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। তবে লেনী ফ্যাশন বিক্রির জন্য পাঁচবার নিলামের ব্যবস্থা করা হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাওয়া না যাওয়ায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। শ্রমিকদের বোঝানো হচ্ছে।'

'শ্রমিকরা কারো কথাই শুনছেন না,' বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

আনোয়ার পারভেজ জানিয়েছিলেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠান দুটি একই মালিকের, তাই দুটি কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া একসঙ্গে পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনি জটিলতা থাকায় একটি কারখানা বিক্রির টাকা অন্য কারখানার শ্রমিকদের দেওয়ার সুযোগ নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda leaves London for Dhaka in air ambulance

Fakhrul urges BNP supporters to keep roads free, ensure SSC students can reach exam centres

5h ago