গাজীপুরে ১০ দফা দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা।
আজ রোববার ভোর ৬টায় শ্রীপুর ধনুয়া গ্রামের নয়নপুর এলাকায় শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আরএকে সিরামিকের কারখানার শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়। এরপর শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। বর্তমানে কারখানার আশপাশে ও সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।'
জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, 'আরএকে সিরামিকে শ্রমিকরা ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই দাবিকে অযৌক্তিক মনে করছেন।'
আরএকে সিরামিকর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রাজ্জাক মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, তারা শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের আগেই শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেছে।
শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো, জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বেতনসহ এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী ৭ মাসের এরিয়ার বিল ১ আগস্টের মধ্যে দিতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত পদে কর্মচারী নিয়োগ ও অযোগ্য ব্যক্তিদের অপসারণ। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্মানজনক বেতন বৃদ্ধি। আন্দোলনের সময় অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা হিসেবে গণ্য করতে হবে। নতুন ও পুরাতন কর্মীদের জন্য যৌক্তিক বেতন কাঠামো প্রণয়ন। কোম্পানির অভ্যন্তর থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ। সিভিল কর্মীদের ন্যূনতম হাজিরা ৫০০ টাকা নির্ধারণ। হাজিরা বোনাস ১ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে। আন্দোলনের পর কেউ চাকরিচ্যুত হলে পুনরায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পূর্বের সকল সুযোগ-সুবিধা ও বয়স্ক ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে।
Comments