মোংলা বন্দরের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মোংলা সমুন্দ্র বন্দরের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হলো আজ। দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা বন্দর গেট থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা বন্দর গেটে শোভাযাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

মোংলা সমুন্দ্র বন্দরের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হলো আজ। দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা বন্দর গেট থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি।

পরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর আয়োজনের উদ্বোধন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা শুরু হয়। 

আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। এসময়, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাহীনুর আলম, হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদসহ বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে, কৃতিত্বপূর্ন কাজের জন্য বন্দর ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন বন্দর চেয়ারম্যান।
বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। দেশ, জাতি ও মোংলা বন্দরের অগ্রগতি চেয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, এক সময় লোকশানে ছিল মোংলা বন্দর। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বন্দরকে সচল ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে মোংলা বন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।

১৯৫০ সালের এ দিনে পশুর নদীর জয়মনির ঘোলে 'দি সিটি অব লিয়নস' নামে প্রথম ব্রিটিশ পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙ্গরের মাধ্যমে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় চালনা এ্যাংকারেজ পোর্ট নামে মোংলা সমুদ্র বন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছিল।

Comments