বৈদ্যুতিক বাতি তৈরিতে দেশি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ছে
আবাসিক ও শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য বৈদ্যুতিক বাতিসহ আনুষঙ্গিক পণ্য তৈরির সক্ষমতার ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছেন দেশি উদ্যোক্তারা।
এখন দেশে বাতি তৈরি ও সংযোজনের ১ ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি বাতি তৈরি করছে। এই শিল্পকে প্রণোদনা দিতে বাতি তৈরির চিপস ও অন্যান্য উপাদান আমদানির ক্ষেত্রে প্রদান করা শুল্ক সুবিধার জন্য যা সম্ভব হয়েছে।
বাতি তৈরির কিছু উপাদান আমদানি করা হলেও উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো প্যাকেজিং ও প্লাস্টিক উপাদানগুলো নিজেরাই তৈরি করছে।
এনার্জি প্লাস ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ জোবায়ের বলছেন, 'আমরা এখন বাতিসহ এই ধরনের পণ্য রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের স্বপ্ন দেখছি।'
প্রতিষ্ঠানটি আবাসিক ও শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা উপাদান দিয়ে এলইডি বাতি সংযোজনের কাজ করছে।
এনার্জি প্লাস ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ২০১৩ সাল থেকে এ ধরনের সরঞ্জাম তৈরির কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত এটি বেশ কয়েকটি রপ্তানিভিত্তিক কারখানায় বাতি সরবরাহ করেছে। যার মধ্যে ১টি আছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে।
জোবায়ের বলেন, 'আমরা ১ হাজারের বেশি আইটেম আমদানি করে এই সরঞ্জামগুলো তৈরি করছি।'
রাজধানীর অদূরে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির একটি কারখানা আছে। ওই কারখানায় ৫৫০ ভোল্টের এলইডি বাতি ও অন্য পণ্য তৈরি হয়, যাতে সেগুলো ভোল্টেজের ওঠানামায় টিকে থাকে।
এখন প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক বাজারের কথা ভেবে গোপালগঞ্জে একটি কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোবায়ের বলেন, 'আমরা নতুন কারখানায় আগামী বছরের শুরুর দিকে উৎপাদন শুরু করতে চাই।'
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১ দশকেরও বেশি সময় আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই শিল্পের বিকাশে জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতি অর্থাৎ এলইডি ল্যাম্পের উপাদান আমদানির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) তুলে নেয়। এতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ে।
তখন থেকে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি এই খাতে তাদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়।
সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন: Local firms gain ground in making lights
Comments