বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও বাস্তবায়ন কমই

budget

বড় আকারে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়া সত্ত্বেও বিগত অর্থবছরে সরকার বরাদ্দকৃত বাজেটের ৮৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছিল। ফলে বছরের পর বছর বড় আকারে বাজেট প্রণয়নের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, জাতীয় বাজেটের বাস্তবায়নে ঘাটতির বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ সরকারের উন্নয়ন খাতের ব্যয় লক্ষ্যমাত্রা ও সক্ষমতার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।

২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ১ বছরও সরকার বাজেটের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। ২০১০-১১ ও ২০১২-১২ অর্থবছরে বাস্তবায়নের হার ছিল যথাক্রমে ৯৭ ও ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর থেকে তা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে।

গত জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে সরকার অনুমান করেছিল যে বাজেটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। এক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মন্দা থেকে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য অবসানকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি এখনো চলমান যুদ্ধের কারণে বিঘ্নিত হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ অর্থবছরে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বাজেট খরচ হয় ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।

গত বছর উন্নয়ন বাজেট খাতে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা খরচ করা হয়, যার মাঝে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশ্ব ব্যাংকের মতে, বরাদ্দকৃত বাজেট ও বাস্তবায়নের মাঝে বড় ব্যবধান থাকলে তা সরকারি অর্থায়নের জবাবদিহিতাকে বিঘ্নিত করে, বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা কমায় এবং সরকারি বিনিয়োগ ও সেবার উপযোগী বাস্তবায়নের হার কমিয়ে দেয়। ফলে সার্বিকভাবে সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকারিতার ওপর প্রভাব পড়ে।

সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের নিচে রাখার শর্ত দিতে পারে।

তবে, সূত্র আরও জানান, যেহেতু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অদক্ষতা রয়েছে, বাস্তবায়নের হার আগামীতে ৫ শতাংশের নিচেই থাকবে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Budget implementation stays low despite surging allocation

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

3h ago