বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি আরও বেড়ে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার

অক্টোবরে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি আরও বেড়েছে। রেমিট্যান্স ও আমদানি থেকে পাওয়া অর্থের তুলনায় আমদানিতে ব্যয় বেশি হওয়ার ধারা অব্যাহত থাকাই এর মূল কারণ।

বৈদেশিক লেনদেনের মাধ্যমে একটি দেশের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের লেনদেনের হিসাব রাখা হয়। পণ্য ও সেবার বাণিজ্যের বিস্তারিত এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের শেষে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। তবে ২০২০ সালে ঘাটতির পরিবর্তে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

ঘাটতি বাড়তে থাকার অর্থ হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মাঝে প্রায় ৭ লাখ ৮৪ হাজার কর্মী বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করার জন্য গেছেন, যা এর আগের বছরের তুলনায় ১৯১ শতাংশ বেশি।

এই বিপুল জনগোষ্ঠীর বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে তারা জুলাই থেকে অক্টোবরে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে, যেটি মাত্র ২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি।

কিছু অসাধু চক্র ও ব্যক্তি এখন ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। তারা অভিবাসীকর্মীদের অবৈধ লেনদেন করতে উৎসাহিত করছেন। মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর তুলনায় আরও বেশি বিনিময়মূল্য দিচ্ছেন।

জুলাই থেকে অক্টোবরের মাঝে রপ্তানির পরিমাণ ৮ শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন হয়।

অপরদিকে, এই ৪ মাসে আমদানির পরিমাণ ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পণ্য ও সেবা কেনাকে নিরুৎসাহিত করা হলেও এ ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতির কারণে মুদ্রার বিনিময়মূল্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামীতে আরও চাপের মুখে পড়বে।

৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা ১ বছর আগে ৪৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। অর্থাৎ, ১ বছরে রিজার্ভ প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে।

মার্কিন ডলার সংকটের মাঝে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ বছর সময়ের মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে ২৫ শতাংশ।

কয়েকজন অর্থনীতিবিদ সুপারিশ করেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে বাজারে দরের ওঠা-নামা অনুযায়ী টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর নির্ধারণ করা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Current account deficit widens further

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Foreign observers who endorsed past three polls won’t be allowed: CEC

Experienced and reliable observers will be permitted to monitor the upcoming national election, he says

45m ago