সর্বজনীন পেনশনের প্রিমিয়াম ট্রেজারি বিল, বন্ডে বিনিয়োগের পরিকল্পনা

পাশাপাশি লাভজনক প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগ করা হলে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে মুনাফা আসতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সর্বজনীন পেনশন
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের গ্রাহকদের প্রিমিয়াম ট্রেজারি বিল, আর্থিকভাবে শক্তিশালী বাণিজ্যিক ব্যাংক ও লাভজনক অবকাঠামোয় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ন্যাশনাল পেনশন অথরিটি (এনপিএ)।

বহুল আলোচিত এই প্রকল্প উদ্বোধনের পর তহবিল ব্যবস্থাপনার নিয়ম জারি করা হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে।

ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগের কথা ভাবছে এনপিএ। এই ২ খাতে সুদের হার প্রায় ৮ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক সব ঋণের ওপর থেকে সীমা তুলে নিয়েছে, তাই সুনাম থাকা ব্যাংকগুলোর ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে।

পাশাপাশি লাভজনক প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগ করা হলে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে মুনাফা আসতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।

প্রাথমিকভাবে এটি গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুরে চালু হবে। সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই স্কিমের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

এই প্রকল্পে ৪টি প্যাকেজ থাকবে—'প্রগতি', 'সুরক্ষা', 'প্রবেশ' ও 'সমতা'।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য 'প্রগতি'র আওতায় কিস্তির মেয়াদ ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা।

বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের মাসিক কিস্তির ৫০ শতাংশ দেবেন।

এনপিএ শ্রম আইন সংশোধন করে বেসরকারি খাতের নিয়োগকারীদের জন্য 'প্রগতি'তে কর্মীদের তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

'সমতা' প্যাকেজটি অতিদরিদ্রদের জন্য সাজানো হয়েছে। এর মাসিক কিস্তি ১ হাজার টাকা। সরকার ৫০০ টাকা দেবে এবং বাকি ৫০০ টাকা দেবেন পেনশনভোগী।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য 'প্রবাস' স্কিমে মাসিক কিস্তির পরিমাণ থাকবে ৫ হাজার, ৭ হাজার ৫০০ ও ১০ হাজার টাকা। তাদের বৈদেশিক মুদ্রায় কিস্তি জমা দিতে হবে।

দেশে ফিরে তারা টাকা দিয়ে অথবা অন্য প্যাকেজে পরিবর্তন করে স্কিমটি চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে তারা তাদের পেনশন পাবেন টাকায়।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সীদের জন্য থাকবে। তাদেরকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।

তবে ৫০ বছরের বেশি বয়সীরা বিশেষ বিবেচনায় এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারবেন। এই ধরনের সুবিধাভোগীদের কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য মাসিক কিস্তি দিতে হবে। এরপর, তারা প্রতি মাসে পেনশন পেতে শুরু করবেন।

Comments