আমাদের আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছিল। আমরা যত ইচ্ছা প্রকল্প নিচ্ছিলাম। আমাদের তো যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। কোনো অসুবিধা নেই। ভবিষ্যতে যে হঠাৎ করে কোনো চাপ আসতে পারে সেটা চিন্তায় ছিল না।’
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের অনুষ্ঠানে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ছবি: রেজাউল করিম বায়রণ/স্টার

দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন যে, 'আমরা কখনো সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অনুযায়ী চলিনি। আমাদের আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল।'

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছিল। আমরা যত ইচ্ছা প্রকল্প নিচ্ছিলাম। আমাদের তো যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। কোনো অসুবিধা নেই। ভবিষ্যতে যে হঠাৎ করে কোনো চাপ আসতে পারে সেটা চিন্তায় ছিল না।'

তার মতে, রিজার্ভটা রাখা হয় এ কারণে যাতে বিদেশিদের আস্থা ও বিনিয়োগ বাড়ে। এটা কখনোই নিজেদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয় না। এটা যেন আপদের সময়ে কাজে লাগে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'এর মাধ্যমে সারা দুনিয়াকে জানানো হয় যে আমাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল আছে। যাতে এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে। আমরা ভালো করছি বলে আমরা বিনিময় হারগুলো সময় মতো সমন্বয় করিনি।'

'আমরা একের পর এক বড় বড় অবকাঠামোগত প্রকল্প করে যাচ্ছি। এগুলো ঋণের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকগুলো আছে প্রয়োজনীয়। অনেকগুলো আবার এসময় প্রয়োজন ছিল না' বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

'গত ৩ বছরে আমাদের বৈদেশিক ঋণ ৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে আমাদের ঋণ ফেরত দিতে হবে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার। আমরা যদি ভবিষ্যতে আরও ঋণ নিতে থাকি তাহলে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। এ জন্য লাভ-ক্ষতি বিবেচনা করে আমাদের বড় অবকাঠামো প্রকল্প নিতে হবে।'

Comments